যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সংরক্ষিত তেল বাজারে ছাড়ায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। গত দেড় মাস ধরে বাড়তে থাকা জ্বালানি তেলের দামে উৎপাদনকারীরা বিপুল মুনাফা করলেও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে অস্থিরতার মধ্যেই অবশেষে বিশ্ববাজারে দাম কমল।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের নিচে নেমে গেছে। বর্তমানে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ও ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দর গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। জ্বালানি তেলের দাম কমার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে।
জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রিস্ট্যাড এনার্জির বিজোরনার টনহাউজেন বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে। দেশ দুটি সংরক্ষিত তেল বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
টনহাউজেন বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন ডিসেম্বরে ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আসতে পারে। এটা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে কিংবা আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার বৃহত্তর সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে। তবে সংরক্ষণ করা থেকে তেল ছাড়ের বিষয়টি দীর্ঘ সময়ের জন্য সামগ্রিক চিত্র পরিবর্তন নাও করতে পারে।’
কয়েকদিন আগে জো বাইডেন ও সি চিন পিংয়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে বৈশ্বিক জ্বালানি তেল সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে বাইডেন সংরক্ষণ করা তেল বাজারে ছাড়তে চীনের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানান।
সিএনএন বলছে, এরপরই দেশ দুটির সমন্বিত পদক্ষেপের পর লাখো ব্যারেল তেল বাজারে আসে। সংরক্ষিত তেল বাজারে ছাড়ার বিষয়ে চীনের পদক্ষেপের ফল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব ফেলে।