সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল, সবজি ও মুরগির। কিছুটা দাম কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের।
অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। চায়না গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ২০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সবজির আমদানি কম থাকায় বেড়েছে দাম। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। শীতের মৌসুম সবজির দাম কমবে।
এসব বাজারে আলুর দাম বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির হোসেন বলেন, বাইরের পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। বার্মা ও ভারতের পেঁয়াজ আসছে বাজারে। পেঁয়াজ আমদানি কমলে দাম আবারও বাড়তে পারে।
এইসব বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। কেজিপ্রতি ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। কত সপ্তাহে এই বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকা কেজি।
কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।
এছাড়া শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
এসব বাজারে বেড়েছে ভোজ্যতেল দাম। লিটার প্রতি ১০ টাকা বেড়ে খুচরা প্রতি লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৩ থেকে ১৫৮ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
বাজারে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের দাম বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। গত সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা।
বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। কেজি ৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজি ২৩০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. ফারুক বলেন, খামারিরা বলছে মুরগির উৎপাদন কম ও বেড়েছে খাবারের মূল্য এসব কারণেই বাজারে মুরগির দাম বাড়তি। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা মুরগি কিনতে কম আসছেন।