৫ জুলাই সকালে অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভাশেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান করোনাভাইরাসের টিকা নিতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তির নিবন্ধনের বয়সসীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর করার চিন্তা করা হচ্ছে।
ধীরে ধীরে ভ্যাকসিনের সংকট কাটতে শুরু করেছে। চীন এবং রাশিয়া থেকে ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ নেয় সরকার। চীন সরকারের উপহার হিসেবে দেশে প্রায় ৩১ লাখ ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছায়। একই সঙ্গে কোভ্যাক্সের আওতায় দেশে ফাইজারের এক লাখ ৬০০ ডোজ ভ্যাকসিন আসে। সর্বশেষ কোভ্যাক্সের আওতায় মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৯ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
নিবন্ধন চালু করে সারাদেশে আবারও গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। খুরশীদ আলম বলেন, দু-চার দিন পর নিবন্ধন শুরু হবে আবার। টিকা পেতে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৩৫ বছরে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে টিকা পেতে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ছিল ৪০। ইতোমধ্যে প্রবাসী কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার তালিকায় রেখে টিকাদান কর্মসূচি চালু করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সম্প্রতি কোভ্যাক্সের পাঠানো মডার্নার ২৫ লাখ ও সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ, জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।