ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ভারতে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকেই দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে তিন লাখের নিচে। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে শুক্রবারও। একইসঙ্গে কমেছে সংক্রমণের হারও। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে বেড়েছে প্রাণহানি। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ২ লাখ ৫১ হাজার ২০৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ ২২ হাজার ৭০৯ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২৭ জন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৩ জনের। করোনা মহামারির শুরু থেকে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৯২ হাজার ৩২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে ভারতে করোনায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা গত ২৪ ঘন্টায় ১২ দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের হারেও হয়েছে কিছুটা উন্নতি। বৃহস্পতিবার দেশটিতে সংক্রমণের হার ছিল ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। শুক্রবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হারও সামান্য কমে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
ভারতে করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে মোট ৫১ হাজার ৭৩৯ জন নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ৯৪ শতাংশই ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এছাড়া দেশটিতে ওমিক্রনের উপধরণ বিএ.২ এর সংক্রমণও বাড়ছে।
ভারতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ করোনার সক্রিয় রোগী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১ লাখের বেশি। এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা মোট সংক্রমণের ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ৯৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
ভারতে এখন পর্যন্ত মোট ১৬৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭৩ হাজার ২১৬ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট দেশটিতে টিকা পেয়েছেন ৫৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯২ জন।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার অন্তত ৭২ শতাংশ করোনা টিকার উভয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যেও প্রায় ৫৪ শতাংশ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে।