চুক্তির পরেও ভারত সম্প্রতি একতরফাভাবে করোনার টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে চীন ও রাশিয়ামুখী হয়ে যায় বেকায়দায় পড়া বাংলাদেশ। দেশ দুটির তৈরি টিকা সিনোফার্ম ও স্পুটনিক-ভি এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় সরকার। সেইসঙ্গে যৌথভাবে এই টিকা দেশে উৎপাদনের বিষয়ে বেইজিং-মস্কোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা।
ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা বেশি সংখ্যক আমদানি করতে জরুরি ভিত্তিতে চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ। এটি হলে এক মাসের মধ্যে প্রথম চালানে ১০ লাখ ডোজ টিকা আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এরইমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, টিকার দাম ও পরিমাণ নির্ধারণসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে।
এ ছাড়া চীনের সিনোফার্ম টিকা পেতে জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ১০ মের মধ্যে চীনের টিকা পাবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মে দিবস উপলক্ষে ৫ দিনের ছুটি ছিল। তা সত্তেও ১৩ মের মধ্যে ৫ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
এদিকে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশেও উৎপাদনের বিষয়ে বেক্সিমকোর সঙ্গে আলোচনা করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছেন তারা।
এ ছাড়া মার্কিন কোম্পানি মর্ডানার টিকা আমদানি করতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে রেনাটা বাংলাদেশে। এর সত্যতা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সুত্র: 24newspaper/এমএস