ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়তে স্বাস্থ্যসেবার সক্ষমতা ও টিকাদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রন ঢেউ ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা একক কোনো সমাধান নয় বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক ডিরেক্টর তাকেশি কাসাই ম্যানিলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ দেশগুলোর জন্য সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছুই নয়। শুধু সীমান্ত বন্ধের পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। এই ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাব্য উচ্চ সংক্রমণযোগ্যতা রয়েছে। করোনার নতুন ঢেউ ঠেকাতে প্রতিটি দেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
অপেক্ষাকৃত কম সুরক্ষিত গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে এবং মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব মানার মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কাসাই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা ওমিক্রনকে উদ্বেগজনক ধরন হিসেবে বিবেচনা করছেন। তারা এর তীব্রতা এবং সংক্রমণযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এখন পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন।
উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এবং সীমান্ত বন্ধ করেও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থেকে রক্ষা পায়নি অস্ট্রেলিয়া। এর এক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এরইমধ্যে এশিয়া, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপের অনেক দেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার নয়টি প্রদেশের সাতটিতেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক দেশের সরকারই ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পরে। রয়টার্সের হিসাবে সেই থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২৬৪ মিলিয়ন মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ভাইরাসে মারা গেছে ৫ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মানুষ।