শুক্রবার থেকে সুপার লকডাউন অর্থাত্ ২৩ তারিখ থেকে ১৪ দিন কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এই কারণে শহরের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর অনেকে আয়ের অভাবে, বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে গ্রামে ফিরে গিয়েছেন। মোটের উপর করোনা আতঙ্কে এবারের ঈদ অনেকটাই জৌলুসহীন।
কোভিড মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
করোনার কারণে এবারও ঢাকার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানেও ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের মত এবারও ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের প্রধান জামাত এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় চিরভাস্বর ঈদুল আযহা (১ম পর্ব) – Voktakantho
নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। পাশাপাশি পৃথিবী জুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। করোনা থেকে মুক্তির জন্য মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন।
বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন চলছিল। ঈদ উপলক্ষে গত সাতদিন লকডাউন শিথিল করে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রামমুখী মানুষের বাড়ি ফেরার ঢল নেমেছিল। বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট এবং ফেরিঘাটে ছিল উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনও বালাই ছিল না। মাইলের পর মাইল গাড়ির সারি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। দূরপাল্লার বাসের টিকিট না পেয়ে ঢাকা সিটির যাত্রীবাহী মিনি বাস ভাড়া করেও গ্রামে যেতে দেখা গেছে বহু মানুষকে। এ’দৃশ্য গতকাল পর্যন্ত চোখে পড়েছে।
অন্যদিকে রাজনীতিবিদদের এবারের ঈদ কেটেছে একেবারে ভিন্নভাবে। প্রতিবছর তাঁরা গ্রামে নিজ নিজ এলাকায় আত্মীয়স্বজন ও জনগণের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন। কিন্তু এবার মহামারীর আবহে জনগণের কথা চিন্তা করে গ্রামে ফিরে যাননি। তাঁরা রাজধানী ঢাকাতেই নিজের বাসভবন কিংবা স্থানীয় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ঈদের আগেই অবশ্য এলাকায় উপহার পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার থেকে সুপার লকডাউন