প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভূমিসেবাকে মানুষের হাতের মুঠোয় নিয়ে সরকার ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করতে কাজ করছে ।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি ভবন, উপজেলা ও ইউনিয়নের ভূমি অফিস ভবন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম এবং ভূমি ডাটা ব্যাংক উদ্বোধন করেন। দেশের ৯৯৫টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং ১২৯টি উপজেলা ভূমি অফিস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবাদানকারী সব দপ্তর ও সংস্থাকে একই ছাদের নিচে এনে জনগণকে এক জায়গা থেকে সব সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ওয়ানস্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নির্মাণ করা হয় ভূমি ভবন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভূমি ব্যবস্থাপনাটাকে আরও উন্নত করতে চাই। মানুষকে যেন ভোগান্তির শিকার না হতে হয়, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে না হয়। মানুষ ভূমি সেবা যেন হাতের মুঠোয় পায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।
সরকার প্রধান বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগ মিউট্রেশন সম্পন্ন করার মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ডিজিটাইজ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কেননা মানুষ যেন খামোকা হয়রানির শিকার না হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাতের মুঠোয় ভুমিসেবা নিশ্চিত করতে অনলাইনে খতিয়ান সংগ্রহ, উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর, অনলাইন ডাটাবেজসহ ভূমিসেবার সব ক্ষেত্রে অধিকতর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ই-মিউটেশন বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০’অর্জন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের এ পুরস্কার বাংলাদেশে এই প্রথম। এ স্বীকৃতি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়কে আরও গতিশীল করেছে এবং বিশ্ব দরবারে আমাদের মর্যাদা অধিকতর সুসংহত হয়েছে।
ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং প্রকল্পগুলোর ওপর পৃথক ভিডিও চিত্র পরিবেশন করা হয়।