ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: সিঙ্গাপুর থেকে এক হাজার ১৮৬ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেলে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নবম ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে একটি উপস্থাপনসহ) ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয়-কমিটির উত্থাপিত ছয়টি প্রস্তাবের মধ্যে পাঁচটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট অর্থের পরিমাণ দুই হাজার ছয় কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮২ টাকা।
অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক সিঙ্গাপুরের এম/এস ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ১৮৬ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা।
এর আগে গত ২৩ মার্চ পেট্রোবাংলা কর্তৃক এক কার্গো এলএনজি সিঙ্গাপুরের একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৭ হাজার ১৯২ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘কুড়িগ্রাম (দাসেরহাট)-নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থল বন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডাব্লিউপি-০৪ এর পূর্ত কাজ হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেডের কাছ থেকে ১৪৮ কোটি ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৬২৭ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘এলেঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের পূর্ত কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে সরকার। পূর্ত কাজটি যৌথভাবে করবে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ১৫৫ টাকা।