হাতিয়া প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপে রুপ নিয়েছে। হতে পারে জলোচ্ছাস।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে হাতিয়া-ঢাকা লঞ্চ চলাচল, হাতিয়া-চট্টগ্রাম স্টিমার চলাচল ও হাতিয়া-বয়ারচর চেয়ারম্যান ঘাট সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর ও নদী উত্তাল থাকায় রবিবার সকাল থেকে হাতিয়ার সঙ্গে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিয় ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। নিম্নচাপটি এখন চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম দূরে অবস্থান করছে।
এছাড়া মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম দূরে অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থলের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পযন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গভীর সাগরে বিচরণ করতে না করা হয়েছে।
এ বাইরে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটূয়াখালি, ভোলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।