ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক
দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণসহ নানা কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রত্যাশীদের ১২ লাখ ৪৫ হাজার আবেদন ফাইলবন্দি পড়ে আছে। যা আগামী ৬ মাসের মধ্য দেয়া হবে বলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে জানাগেছে।
সূত্র জানায়, ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে। এটা দ্রুত করার জন্য ডিপিএম পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাজীপুর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছি। চুক্তিও হয়েছে। অক্টোবর থেকে প্রিন্টিং শুরু হবে।
কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে বিআরটিএ মিরপুর শাখার উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শফিকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, দালালরা এখানে সক্রিয়। অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। মাঝেমধ্যে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আমরাও গ্রাহকদের সচেতন করছি। আমাদের তথ্যকেন্দ্র সবসময় খোলা। যেকোনো প্রয়োজনে গ্রাহকরা আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন। দালালদের কাছে গিয়ে যেন তারা প্রতারিত না হোন।
তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যারা আবেদন করছেন, নির্ধারিত তারিখেই তাদের লাইসেন্স সরবরাহ করছে বিআরটিএ। পাশাপাশি দীর্ঘদিন আটকে থাকা লাইসেন্সও আগামী ছয় মাসের মধ্যে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলছে সরকারি সংস্থাটি। আগামী অক্টোবর মাস থেকেই লাইসেন্স প্রদানের এ প্রক্রিয়া শুরু করবে বিআরটিএ।
জানা গেছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্টকার্ড সরবরাহকারী হিসেবে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি ২০১৯ সাল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। এরপর বেশ ভালোই বিপাকে পড়ে বিআরটিএ। তবে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, এ সংকট আর থাকছে না। নতুন আবেদনকারীরা যথাসময়েই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন। মাদ্রাজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুসারে সেটি সরবরাহ করছে।