এই কঠোর লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকবে সপ্তাহে চার দিন। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবারের সঙ্গে রোববারও বন্ধ থাকছে ব্যাংক লেনদেন। আগামী এক সপ্তাহের জন্য ব্যাংক লেনদেনের সময়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার (৭ জুলাই) থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত এক ঘণ্টা বৃদ্ধি করে ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
এছাড়া ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আজ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন-ডিওএস থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
দেশের সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ‘ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অত্যাশকীয় বিভাগসমূহ, যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল বা প্রধান শাখা এবং সকল বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।’
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদর ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখা যাবে। আর অন্যান্য সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রে জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় অনধিক দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে। কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।’
এছাড়াও নির্দেশনায় বলা হয়, ‘বিধিনিষেধ চলাকালে নিম্নোক্ত ব্যাংকিং সেবা চালু রাখতে হবে- গ্রাহকদের হিসাবে নগদ বা চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট বা পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা বা অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সকল গ্রাহকের এবং উক্ত সুবিধা-বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস বা ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলী।’