ঢাকা, ১২ মে রবিবারঃ বিএসটিআই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গত ২ মে বৃহস্পতিবার, জানানো হয়েছিল, ‘সংস্থাটি গত দুই মাসে ইফতার ও সেহরির জন্য ব্যবহৃত ২৭ ধরনের খাদ্যপণ্যের ৪০৬টি নমুনা গোপন তৎপরতার মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করে নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে। ফলাফলে ৫২ টি পণ্য অত্যন্ত নিম্নমানের বলে প্রমাণিত হয়’।
এর প্রেক্ষিতে গত ৯ মে বৃহস্পতিবার, ভেজাল ৫২টি পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার বা জব্দ চেয়ে কনসাস কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন। আজ রবিবার, উচ্চ আদালতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিএসটিআইয়ের দুই কর্মকর্তার বক্তব্য শুনানির পর, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রুলসহ আদেশ ঘোষণা করেন। উচ্চ আদালতের এই বেঞ্চ তাঁদের আদেশে, ৫২ নিম্নমানের পণ্য অবিলম্বে বাজার থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে আইন অনুসারে ব্যবস্থা (জব্দ বা ধ্বংস) নিতে বলছেন। একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এসব পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়।
ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’(সিসিএস)-এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান গত ৮ মে এ রিট করেন। আইনি পদক্ষেপের আগে তারাম এসব পণ্য প্রত্যাহার ও জব্দ করার জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে দুই সচিবসহ ৫ জনের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় ওইসব কোম্পানির ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য ধরা পড়ে। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ৬ মে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ভেজাল পণ্যগুলো হচ্ছেঃ
১. তীর ব্র্যান্ডের সরিষার তেল
২. জিবি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল
৩. পুষ্টির সরিষার তেল
৪. রূপচান্দার সরিষার তেল
৫. সান ব্র্যান্ডের চিপস
৬. আরা ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
৭. আল সাফি ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
৮. মিজান ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
৯. মর্ণ ডিউ ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
১০. ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার
১১. আর আর ডিউ ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
১২. দিঘী ব্র্যান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার
১৩. প্রাণের লাচ্ছা সেমাই
১৪. ডুডলি ব্র্যান্ডের নুডলস
১৫. টেস্টি তানি তাসকিয়া ব্র্যান্ডের সফট ড্রিংক পাউডার
১৬. প্রিয়া সফট ড্রিংক পাউডার
১৭. ড্যানিশ ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া
১৮. প্রাণের হলুদের গুড়া
১৯. ফ্রেস ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া
২০. এসিআই পিওর ব্র্যান্ডের ধনিয়া গুড়া
২১. প্রাণ ব্র্যান্ডের কারী পাউডার
২২. ড্যানিস ব্র্যান্ডের কারী পাউডার
২৩. বনলতা ব্র্যান্ডের ঘি
২৪. পিওর হাটহাজারির মরিচের গুড়া
২৫. মিষ্টিমেলার লাচ্ছা সেমাই
২৬. মধুবনের লাচ্ছা সেমাই
২৭. মিঠাই এর লাচ্ছা সেমাই
২৮. ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই
২৯. এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ
৩০. মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ
৩১. কিং ব্র্যান্ডের ময়দা
৩২. রূপসা ব্র্যান্ডের দই
৩৩. মক্কা ব্র্যান্ডের চানাচুর
৩৪. মেহেদি ব্র্যান্ডের বিস্কুট
৩৫. বাঘাবাড়ী স্পেশালের ঘি
৩৬. নিশিতা ফুডসের সুজি
৩৭. মধুযুলের লাচ্ছা সেমাই
৩৮. মঞ্জিল ফুডের হুলুদের গুড়া
৩৯. মধুমতি ব্র্যান্ডের আয়োডিন যুক্ত লবণ
৪০. সান ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া
৪১. গ্রীনলেনের মধু
৪২. কিরণ ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই
৪৩. ডলফিন ব্র্যান্ডের মরিচের গুড়া
৪৪. ডলফিন ব্র্যান্ডের হলুদের গুড়া
৪৫. সূর্য ব্র্যান্ডের মরিচের গুড়া
৪৬. জেদ্দা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই
৪৭. অমৃত ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই
৪৮. দাদা সুপারের আয়োডিন যুক্ত লবণ
৪৯. তিনতীরের আয়োডিনযুক্ত লবণ
৫০. মদিনা, স্টারশীপের আয়োডিনযুক্ত লবণ
৫১. তাজ ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ
এবং
৫২. নূর স্পেশালের আয়োডিন যুক্ত লবণ