ভোক্তাকন্ঠ ডেস্কঃ শুক্রবার ভোরে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ইউএসজিএস- এর তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের হাখা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে সারাদেশে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৩৩৮ কিলোমিটার।
পৃথিবীর উপরিভাগের ৭০-১০০ কিলোমিটার পুরুত্বের লিথোস্ফিয়ার ছোট-বড় ১৩টি খণ্ডে (প্লেটে) বিভক্ত। উত্তপ্ত ও নরম এস্থোনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান এ প্লেটগুলো গতিশীল। প্লেটগুলো গতিশীল থাকায় ভূখণ্ড ধীরে ধীরে সরতে থাকে, যেটাকে ‘অ্যাকটিভ ফল্ট’ বা সক্রিয় চ্যুতি বলা হয়। প্লেটের স্থানচ্যুতির সময় জমে থাকা শক্তি বিপুল বেরিয়ে আসে, তখন সংযোগস্থলে ভূকম্পন হয়।
বাংলাদেশের উত্তরে ইন্ডিয়ান প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংযোগস্থল; পূর্বে বার্মিজ প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থল। এছাড়া বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূল বরাবর বঙ্গোপসাগরের একটি বিশাল ‘সাবডাকশন জোন’ রয়েছে।
সমুদ্র তলদেশে যেখানে দুটি টেকটনিক প্লেট মুখোমুখি অবস্থানে থাকে এবং প্লেট দুটো পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে, সেটাকে বলে ‘সাবডাকশন জোন’। এমন অবস্থায় একটি টেকটনিক প্লেট আরেকটির নিচে চলে গেলে সৃষ্টি হয় ভূমিকম্প।