গোলাম রহমান: খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ যাচাই করতে আছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। তারা তাদের কাজ ঠিকমতো করলে বাজারে নকল, ভেজাল ও মানহীন পণ্য সহজে আসবে না। কারণ মানহীন ও ভেজাল হলে তাদের অভিযানে ধরা পড়ে।
একই ভাবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকেও বাজারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এতে নকল ও মানহীন পণ্যের সরবরাহের প্রবণতা কমবে। তারা এসব কাজ করলে বাজারে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে না। কারণ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তো ল্যাব নেই। ভেজালের বিরুদ্ধে তারা অভিযান করে, ভেজাল পেলে শুধু জরিমানা করে। সেই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়।
কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিএসটিআইয়ের যেহেতু ভালো মানের ল্যাব রয়েছে। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার ক্ষমতাও আছে। তাই তাদের অভিযান বাড়াতে হবে। আটক করা পণ্য ল্যাবে পরীক্ষা করতে হবে। ভেজাল প্রতিরোধ করতে হবে। মানুষের স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনের জন্যই তাদের এই কাজ করতে হবে।
একই ভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ করা হয়েছে। তাদেরও ল্যাবের তৎপরতা বাড়াতে হবে। ভেজালবিরোধী অভিযান বাড়াতে হবে।
লেখক: সভাপতি, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।