‘বাজারে আগুন’ দাবি ক্যাবের

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বাজারে সরবরাহের ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও দেশে উৎপাদিত এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের মূল্য হু হু করে বাড়ছে। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এমতাবস্থায় বাজারকে আগুন বলে দাবি করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও করণীয়’ শীর্ষক একটি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি।

এছাড়াও, উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম ও সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাপরিচালক, ক্যাব সদস্য মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাপরিচালক ও ক্যাব ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শামস এ খান।

লিখিত বক্তব্যে গোলাম রহমান বলেন, ‘আপাত দৃষ্টিতে বাজারে সরবরাহে ঘাটতি নেই। তা সত্ত্বেও দেশে উৎপাদিত এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের মূল্য হু হু করে বাড়ছে। অধিকাংশ পণ্যের মূল্য এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অনেকে সঞ্চয় ভেঙ্গে আর ধার-কর্জ করে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করছে।অনেক চাহিদাই পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। জীবনমানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিগত বছরের বাজেটে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে নির্ধারণ করা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ০২ শতাংশ, যা বিগত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর টিসিবির বাজার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত এক বছরে অনেক পণ্যেরই মূল্যবৃদ্ধি ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি। অনেকে মনে করেন সাধারণ মানুষের জীবনে মুদ্রাস্ফীতির আঁচ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে সঠিক ভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না।’

কেন মূল্য বৃদ্ধি এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, সরকারের ধারণা, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ সংকট, বর্ধিত চাহিদা, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে পণ্যমূল্য বেড়েছে। আর সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক, বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের ফলে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতিকে উসকে দিয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে, সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হচ্ছে এবং মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, চাহিদা সরবরাহের ফারাক, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য অথবা মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি, কোনো ব্যাখ্যাই সাধারণ মানুষের নিকট প্রাসঙ্গিক নয়। তারা মূল্যবৃদ্ধিতে কষ্টে আছে। তাদের জীবনমানের অবক্ষয় হচ্ছে। তারা মনে করে সরকারের ব্যর্থতার কারণে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।

গোলাম রহমান বলেন, গণমাধ্যমে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং তাদের তদারকিতে ও নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতাকে মূল্যবৃদ্ধির জন্য দোষারোপ করছে। এ অভিযোগের কিছুটা ভিত্তি থাকলেও, পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা নয়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার তদারকি এবং অভিযান পরিচালনা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, উৎপাদক, পরিশোধনকারী, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা ও দেন-দরবারের মাধ্যমে কিছু পণ্যের মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে সফলতা লাভ করেছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতির লাগাম টানায় তা কোনো অবদান রাখছে বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে, টিসিবি এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে কয়েকটি পণ্য বিক্রি করছে। এতে সুবিধাভোগী দরিদ্র পরিবার উপকৃত হচ্ছে, কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি থামছে না। সরবরাহ সংকট অথবা চাহিদা বৃদ্ধির কারণে মূল্য বাড়ছে এমন সরল ব্যাখ্যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সঠিক নয়। তাই একক ভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কাঠগড়ায় উঠানো যুক্তিযুক্ত মনে হয় না।

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্ব মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, বাংলাদেশ তা থেকে বিরত থেকেছে। পৃথিবীর সর্বত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করাকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালে ব্যাংক আমানতের সর্বোচ্চ হার ৬ দশমিক ০ শতাংশ এবং ঋণের সর্বোচ্চ হার ৯ দশমিক ০ শতাংশ নির্ধারণ করে এবং সময়ের সঙ্গে সংশোধন না করে জেদি ভাবে, তা অনুসরণ করে এসেছে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে অর্থ মন্ত্রণালয় বিগত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক লাখ এক হাজার কোটিরও বেশি টাকা ঋণ নিয়েছে। টাকশালে টাকা ছাপিয়ে এই ঋণ দেয়া হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা- এতে অর্থনীতিতে মুদ্রা সরবরাহ পাঁচ গুণ, অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে। (তবে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বড় অংকের অর্থ বাজার থেকে তুলে নেয়ার দাবি করছে)। অর্থনীতির সূত্র অনুযায়ী- অর্থ সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পণ্য ও সেবার মূল্য বাড়ে। বার বার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিও মুদ্রাস্ফীতিকে উসকে দিয়েছে। রপ্তানি ও রেমিটেন্স থেকে বৈদেশিক মুদ্রার আয় আমদানি ব্যয় থেকে পরিমাণে অনেক কম হওয়ায় বিগত এক বছরের কিছু বেশি সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ২৫ শতাংশের অধিক হ্রাস পেয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধির ফলে টাকায় আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বহুলাংশে বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে টাকার অংকে কর ভ্যাটও বাড়ছে। ফলশ্রুতিতে পণ্য মূল্য বাড়ছে। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ব বাজারে পণ্যের দর পতনের সুফল থেকেও বাংলাদেশের ভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছে।

মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানার উদ্যোগের বিষয়ে ক্যাব সভাপতি বলেন, অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ০ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন। সরকারের ব্যয় মেটানোর জন্য ব্যাংকিং খাত, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অধিক ঋণ গ্রহণের সম্ভাবনা কিন্তু শুভ লক্ষণ নয়। এতে মুদ্রাস্ফীতি আরও লাগামহীন হয়ে পড়তে পারে। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে হলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংককে ‘সুদের হার’ নির্ধারণের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদানের কোনো বিকল্প নেই। সরকারের ব্যবসাবান্ধব ‘সুদ নীতি’ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে না।

তিনি বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতা না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠান পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য নির্ধারণ করে অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করছে। কখনো ভোজ্যতেল, কখনো চিনি অথবা পেঁয়াজ, আদা, ডিম, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি পণ্যের সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট হাজার হাজার কোটি টাকা ভোক্তার পকেট থেকে লুটে নিচ্ছে। অনেক সময় আমদানি নিয়ন্ত্রণে অশুল্ক বাধা, যেমন, চাল আমদানিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন; পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ইত্যাদি কৃষি পণ্য আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পারমিট, অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে অতি মুনাফা অর্জনের সুযোগ করে দেয়। তাছাড়া পথে ও বাজারে চাঁদাবাজি, বৈরি আবহাওয়া ইত্যাদি অজুহাত তো আছেই।

তিনি আরও বলেন, ভোক্তা-অধিকার রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলো সক্ষমতা সীমিত এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে একেবারে অকার্যকর। বড় অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার নজির নেই বললেই চলে।

গোলাম রহমান বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন সম্ভব নয়। অতএব, গুটিকতক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও কার্টেলের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সরকারকে খাদ্য বিভাগ, টিসিবির ন্যায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিত্যপণ্য সরবরাহ ও বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ, মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারের ব্যবসা থেকে দূরে থাকার নীতিতে জনস্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন সুশাসন। সরকারের নীতি হবে পক্ষপাতিত্বহীন। একপেশে ‘ব্যবসা-বান্ধব’ নীতি নয়, সময়ের চাহিদা সরকারের ‘ভোক্তাবান্ধব, জনবান্ধব’ নীতির অনুসরণ। সাধারণ মানুষের আয়-রোজগার বৃদ্ধি, তাদের কল্যাণ ও জীবনমানের উৎকর্ষ সাধন এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে লাগসই নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হলেই কেবল ঊর্ধ্বমুখী মূল্য পরিস্থিতির লাগাম টেনে জনজীবনে স্বস্তি ও শান্তি আনা সম্ভব হতে পারে। বাজারের আগুনের আঁচ তাতে কিছুটা হলেও সহনীয় হবে।

ন্যায্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ, ভোক্তা স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়াদি তদারকি, সরকারের নীতি নির্ধারণে ভোক্তা স্বার্থের প্রতিফল, ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় ভোক্তাদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় দাবি জানান ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে পরিচালিত হয় এবং সেখানে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবসা বাণিজ্যের স্বার্থে কাজ করবে। সেই মন্ত্রণালয়ে যদি ভোক্তাদের স্বার্থের কথা বলা হয় তাহলে তো সেটা বাস্তবায়ন হবে না। তাই ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় পৃথক মন্ত্রণালয় প্রয়োজন।

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে আমাদের ভোক্তাদের শোষণ করা হচ্ছে। আমাদের দেশের ছয় থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে ইচ্ছেমত দাম বৃদ্ধি করে। এই ব্যবসায়ীরাই বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। কিছুদিন পর পর এই সংকট দেখা দেয়। যেমন কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়েছে। এখন আবার আলু নিয়ে কারসাজি শুরু করেছে। কিছুদিন আগে ডিমের দাম, চিনির দাম, তেলের দাম তারাই বাড়িয়েছে। আমরা ভোক্তারা খুব কষ্টে আছি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেঁকে গেছে।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাপরিচালক ও ক্যাব সদস্য মো. আবুল হোসেন বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে। তাদের অভিযোগ করার আগ্রহ থাকতে হবে। ভোক্তারা সহযোগীতা চাইলে ক্যাবের পক্ষ থেকে এবং সরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হবে।

ক্যাব ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শামস এ খান বলেন, চাহিদা, সরবরাহের ফারাক, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য অথচ মুদ্রা সরবরাহ বিঘ্ন কোনা ব্যাখ্যাই সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সাধারণ মানুষ জানতে চায় না, আপনি কি করলেন? আপনি টাকা ছাপালেন কি ছাপালেন না, টাকা বাইরে গেল কি গেল না। আমি তিন বেলা খেতে চাই। আমি সেই খাবারের ব্যবস্থা চাই। আমার আয়ের ব্যবস্থা, আমার খাবারের ব্যবস্থা চাই।

-এসআর