ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্য সচিব মো. গোলাম রহমান বলেছেন, বিগত নয় বছরে খাদ্য কতটুকু নিরাপদ হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কেবলমাত্র ভোক্তাকে সচেতন হলে হবে না। বরং সব পক্ষকেই সচেতন হবে। আর এ জন্য নিরাপদ খাদ্য কার্যক্রম জোরদার করলে ধীরে ধীরে এসব উন্নতি হবে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হর্টেক্স ফাউন্ডেশনে ‘খাদ্য দূষণ এবং অসদুপায় প্রতিরোধে ভোক্তা সচেতনতা এবং সোচ্চার হওয়ার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুড সেফটি ফাউন্ডেশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ডের সাবেক সদস্য আবুল বাসার মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার প্রমুখ।
মো. গোলাম রহমান বলেন, কেবলমাত্র ভোক্তা নয় সব পক্ষকেই সচেতন হতে হবে। এক সময়ের ফুড সেইফটি ফোরামের কার্যক্রম এখন আর দেখা যায় না। অনুরূপ ফোরাম বা নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠা ভালো উদ্যোগ হবে। তারা একদিকে যেমন ভোক্তার হয়ে সোচ্চার হবে অন্যদিকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং খাদ্য ব্যবসায়ীগণকে উৎসাহিত এবং সহযোগিতা করতে পারবে।
আনোয়ার ফারুক বলেন, নিরাপদ খাদ্য ধারণাটি বাংলাদেশে নতুন। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অধিক ফলাওকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, এখন থেকে একইসঙ্গে নিরাপদ খাদ্য ফলাওয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য যেমন খাদ্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোকে জোরদার করতে হবে, তেমনই খাদ্য ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে।
মো. আব্দুল আলীম বলেন, সরকার ভালো ভাবে অনুধাবন করেছে যে নিরাপদ খাদ্য অনুশীলন ছোটকাল থেকেই করা প্রয়োজন। তাই ইতোমধ্যে প্রাথমিক পাঠ্য কার্যক্রমে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামীতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত তা বর্ধিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট সিটিজেন প্রয়োজন।
ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার্থে এবং তাদের কণ্ঠ বলিষ্ঠ করার লক্ষ্যে ভোক্তাস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংগঠন, সিভিল সোসাইটি সংগঠন এবং খাদ্য ব্যবসায়ী সহকারে একটি ফুড সেইফটি ফোরাম বা নেটওয়ার্ক গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয় সেমিনারে।
সেমিনারে বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশান, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কনজুমারস এসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ, বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ভোক্তা প্রতিনিধি এবং ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও একাডেমিয়া, কৃষিবিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞ, কৃষি উদ্যোক্তাগণও অংশগ্রহণ করেন।