নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতি মাসে যাতে করে এক কোটি ডোজের বেশি করোনার টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে রুস্তম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৩) প্রশ্নে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চীনের সিনোফার্ম হতে দেওয়া শিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি করে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে।
চলমান টিকা কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যে সব বিভাগীয় সদর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সব বিভাগীয় সদর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকা কেন্দ্র বিস্তৃত করা হয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে। টিকা প্রদানে প্রয়োজনীয় জনবলকে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আশা করি পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা প্রদান সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বলেন, আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদানের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ন্যাশনাল ডেভেলপম্যান্ট অ্যান্ড ভ্যাকসিনেশন প্ল্যান (এনডিভিপি) প্রস্তুত করেছে যা কোভ্যাক্স অনুমোদিত।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রমান্বয়ে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা হয়েছে।
বর্তমানে জনসাধারণের জন্য টিকা গ্রহণের বয়সসীমা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এসময় টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংসদে কথা বলেন তিনি। বলেন, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সব শিক্ষার্থীকে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে বয়সসীমা ১৮ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ক্রয় চুক্তি ও উপহার হিসেবে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিপাক্ষিক ক্রয় চুক্তির আওতায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি এবং চীনের সিনোফার্ম ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে সাত কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
অপরদিকে রাশিয়া থেকে এক কোটি ডোজ স্পুটনিক-ভি টিকা ক্রয়ের চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া কোভ্যাক্সের মাধ্যমে তিন কোটি ডোজ সিনোফার্ম ও সাত কোটি ৫০ লাখ ডোজ সিনোভ্যাক টিকা ক্রয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।