ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট : কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, সুষম খাদ্য বা পুষ্টিকর খাদ্য মেধা বিকাশে সহায়তা করে। আর যে যতো মেধাবী, তারা জীবন সংগ্রামেও ততোটা ভালো করে। সুতরাং সুষম খাদ্য তথা নিরাপদ খাদ্য যাতে সবাই পেতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্যাব ও ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের (এফআইভিডিবি) যৌথ উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সচেতনতা বিষয়ক ক্যাম্পেইনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম রহমান বলেন, ‘আগের চেয়ে বর্তমানে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা অনেকটাই অর্জন করেছি। কিন্তু এখনো অনেক মানুষ আছে, যারা তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারে না৷ তাই সবার জন্যে খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে, সেই সাথে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক শিশু আছে এটা খায় না, ওটা খায় না। কিন্তু এটা ঠিক নয়। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে, পর্যাপ্ত খাবার খেতে হবে, সুষম খাদ্য খেতে হবে এবং নিরাপদ খাবার খেতে হবে। তবেই তোমরা সুস্বাস্থের অধিকারী হবে এবং জীবন সংগ্রামে জয়ী হবে। সেই সাথে আশা করবো- তোমরা জীবন সংগ্রামে জয়ী হয়ে সুন্দর জীবন গড়ে তুলবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (খাদ্যশিল্প ও উৎপাদন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের ডিরেক্টর ড. মো. হারুনুর রশীদ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ও কম্পোনেন্ট ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, এফআইভিডিবি’র নির্বাহী পরিচালক বজলে মোস্তাফা রাজী এবং রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হক মিয়া।
প্রধান আলোচক ছিলেন ওয়েল্টহাঙ্গারহিলফি বাংলাদেশের হেড অব প্রজেক্ট মামুনুর রশীদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্যাবের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহমাদ একরাম উল্লাহ।
ক্যাম্পেইনে বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন রন্ধন শিল্পী ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ট্রেইনার আফলাতুন নাহার এবং রেসিপি কনট্রিবিউটর তাপসী মরিয়ম।
এ সময় নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি প্রদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের টিফিন প্রদর্শনী করা হয়।