বাংলাদেশে গত ১১ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮৪ শতাংশ। বিবিসি বাংলার মাধ্যমে জানা যায়, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ইলিশ রপ্তানিতে আগ্রহী হয়ে উঠলেও বাংলাদেশের সরকার এখনি এই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুধুমাত্র ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে না পারার কারণে তাদের অনেক রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আর সরকার চাইছে, দেশের সব মানুষের জন্য ইলিশ মাছ সহজলভ্য করার পর রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিতে।
বাংলাদেশে মা ইলিশ ও জাটকা ধরায় কড়াকড়ির কারণে গত কয়েক বছর ধরে ইলিশের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। মৌসুমে এমনকি বড় ইলিশের দাম প্রত্যাশার চেয়েও কম দামে কেনা সম্ভব হচ্ছে।
বিশ্বের যেসব দেশে বাঙ্গালিরা বসবাস করেন, সেই সব দেশেই মূলত ইলিশের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলো, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু রপ্তানির কারণে দেশের বাজারে ইলিশের জোগান কম থাকা এবং দামা বেড়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগে ২০১২ সালের পয়লা অগাস্ট থেকে ইলিশ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর এখন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি।
বাংলাদেশে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ২ লাখ ৬০ হাজার টন ইলিশের উৎপাদন হলেও ২০১৯-২০২০ সালে মোট ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার টন। মূলত মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।
ইলিশের উৎপাদন বেশি হওয়ায় মৌসুমের সময় বড় আকারে ইলিশের দাম অনেক কমে আসে। এক কেজি ওজনের ইলিশ আগে এক হাজার টাকায় বিক্রি হলেও গত মৌসুমে তা ছয় থেকে সাতশো টাকায়ও বিক্রি হতেও দেখা গেছে।