ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আরও ৩৮০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ যুক্ত হচ্ছে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪)। আগামী মার্চ মাস নাগাদ সি-মি-উই-৪-এ যুক্ত হচ্ছে এই ব্যান্ডউইথ। এ জন্য সরকারের ব্যয় হবে ৩২ লাখ ডলার।
বিষয়টি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) পরিচালনা পর্ষদের ২০০তম সভায় কনসোর্টিয়াম ও সরবরাহকারীদের মধ্যে চুক্তি সইয়ের জন্য অনুমোদিত হয়েছে বলে ৩০ জুনের বিএসসিসিএল’র মূল্য সংবেদনশীল তথ্যে এ খবর জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আপগ্রেডেশন-৬ প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সি-মি-উই-৪ ক্যাবলে কোম্পানির ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি কক্সবাজার- টুয়াজ ভায়া সাতুন ও মালাক্কা রুটে ৩৫০০ জিবিপিএস এবং কক্সবাজার-চেন্নাই রুটে ৩০০ জিবিপিএস সক্ষমতা (ক্যাপাসিটি) বাড়ানো হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ৩৪৪০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে যার পরিমাণ ছিল ১০৫০ জিবিপিএস। ২০০৬ সালে সংযুক্ত হওয়া সি-মি-উই-৪-এর ক্যাপাসিটি ছিল ৮০০ জিবিপিএস, তথা এই পরিমাণ ব্যান্ডউইথ ক্যাবল থেকে দেশে ব্যবহার হচ্ছে। সক্ষমতা বাড়ানো হলে সি-মি-উই-৪ এর সক্ষমতা বেড়ে হবে ৪৬০০ জিবিপিএস।
বিএসসিসিএল’র একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, সক্ষমতা বাড়ানোর প্রথম দিন থেকেই চাইলে পুরো ব্যান্ডউইথ (৩৮০০ জিবিপিএস) ব্যবহার করা যাবে।
২০২৬ সালে ২০ বছরের আয়ুবিশিষ্ট সি-মি-উই-৪ ক্যাবলে কীভাবে আরও ৩৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত করা সম্ভব হবে, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০ বছরের মেয়াদের কথা বলা হলেও আসলে ৩০ বছরেও কিছু হবে না। এটা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সি-মি-উই-৪-এর ক্যাপাসিটি বাড়ানো হলে দেশকে আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। তারা বলছেন, বর্তমানে আইটিসির (৬টি প্রতিষ্ঠান) মাধ্যমে দেশে আসছে প্রায় ১২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। এটা মূলত আমদানি করা ব্যান্ডইউথ। এই পরিমাণ ব্যান্ডইউথ আনতে দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। সি-মি-উই-৪-এর সক্ষমতা বাড়ানো হলে আমাদের আর ব্যান্ডউইথ আমদানির প্রয়োজন হবে না। আমরা নিজেরাই সক্ষম হবো। দেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংযুক্ত হবে। ফলে ব্যান্ডউইথ আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে।