ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘শহরের সেবা আমরা ইউনিয়নে নিয়ে গেছি, ইউনিয়নের সেবা মানুষের দোড়গোঁড়ায় নিয়ে গেছি। এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে, দোড়গোঁড়া থেকে মানুষের হাতের মুঠোয় সেবাগুলোকে নিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারকে আরও বেশি সাশ্রয়ী এবং টেকসই করা।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের এটুআইয়ের মাল্টিপারপাস মিটিং রুমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১: সবার জন্য স্মার্ট সেবা ক্যাম্পেইন’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্ভাবনী নতুন নতুন সেবা দিয়ে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোকে ঘরে ঘরে এবং প্রত্যেকটি নাগরিকের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সোনার দেশ গড়তে হলে সবার আগে প্রয়োজন সোনার মানুষ। আমি মনে করি প্রত্যেকটা ডিজিটাল সেন্টারকে মানুষের সেবা পাওয়ার জনপ্রিয় কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর সেই দর্শণকে বাস্তবায়ন করা। অর্থাৎ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদেরকে স্মার্ট উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে হবে।’
জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আগে যে সেবাগুলো পেতে মনুষকে লাইনে দাঁড়াতে হতো, যেমন ভূমি সংক্রান্ত সেবা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ফরম তোলা, পাসপোর্ট কিংবা বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন আবেদনপত্র, জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন- এগুলো করতে আগে অনেক দূরে, শহরে যেতে হতো। অনেক টাকা এবং সময় লাগতো এবং দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে অপেক্ষা করতে হতো, সেটা কমিয়ে দিয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা। ফলে ইনলাইন থেকে সেবাগুলো আমরা অনলাইনে আনতে পেরেছি। শহরের সেবাগুলোকে আমরা গ্রামের নিয়ে যেতে পেরেছি। দেশের সেবাগুলোকে আমরা প্রবাসে নিয়ে যেতে পেরেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার, এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মহ. শের আলী, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং অন্যান্য অতিথিরা।