ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য দেশের সকলের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তবে শুধু তাঁর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে নয় বরং প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে।
বৃহস্পতিবার আইসিটি বিভাগের “বিজনেস কন্টিউনিটি প্লান ফর পাওয়ার ক্রাইসিস ২০২২” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সংকটকালীন সময়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দক্ষ নির্দেশনা ও নেতৃত্বে সঠিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। শুধু তাই নয় করোনাকালীন দুই বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক ও বিচারিক কার্যক্রমসহ সকল বিষয়ে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সেই পরিস্থিতিগুলোকে মোকাবিলা করতে অনেকাংশে সফল হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংকট এবং অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আমরা রয়েছি, তা কতো ভালো ভাবে মোকাবিলা করা যায় এবং সংকটের মধ্যে থেকেও প্রযুক্তিকে কতটা ভালো ভাবে ব্যবহার করা যায় সে জন্যই এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।’
পলক বলেন, ‘২০২০ সালের মার্চে আমরা করোনাকালীন সময়ে বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান তৈরি করে করোনা মোকাবেলা করেছি। ঠিক একই ভাবে অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবেলায় কি কি বিজনেস প্ল্যান করা দরকার এবং কি কি ধরনের সমাধান হতে পারে সে বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি সার-সংক্ষেপ প্রেরণ করা হবে।’
সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে মিতব্যয়ী হতে লো কস্ট সেন্সর ব্যবহার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সম্মাননা প্রদান, ‘আমিই সমাধান’ অ্যাপ দিয়ে সচেতনতা কার্যক্রমের ফ্লো চার্ট, ৩৩৩ কলসেন্টার সংযুক্ত করে নাগরিকদের মধ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতি তথ্য চালু, লোডশেডিং পরিকল্পনা বিষয়ে অ্যাপ তৈরি, ভোরে এক ঘন্টা সড়ক বাতি বন্ধ রাখা, এসএমএস, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে জরুরী বার্তা, বিগ ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিদ্যুতের লোডশেডিং পরিকল্পনা তৈরিসহ অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এছাড়া এ বিষয়ে এটুআই এর পক্ষ থেকে তিনটি উপস্থাপনাসহ পাওয়ার সেভিংস এর মূল্য ও প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে সাংস্কৃতিক/আচরণগত, আর্থিক কাঠামোর উপর অ্যানার্জি সাশ্রয় নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।
সভায় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় আইসিটি বিভাগ ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ বিভিন্ন আইটি সংশ্লিষ্ট ৪০ জন কর্মকর্তা এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।