ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: এআই মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সব কাজেই এআই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এআই। এছাড়া এআই নাকি মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে, এমনটাই দাবি করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মেলিসা নামে মধ্যবয়সী এক নারী আমেরিকার আইওয়াতে বসবাস করেন। বরাবরই তার জীবনে ছিল একাধিক মানসিক সমস্যা। অর্থাৎ সারাজীবন ধরে সেই সমস্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে এসেছেন। কিন্তু বর্তমানে তার সেই মুশকিল আসান হয়েছে এআই-এর কল্যাণে। মেলিসার দাবি, থেরাপিস্টের কাছে যাওয়ার তুলনায় এআই চ্যাটবট ব্যবহার করা ঢের ভালো!
তার দাবি, ট্র্যাডিশনাল থেরাপির ক্ষেত্রে অন্য জায়গায় গাড়ি করে যাও, বাইরে খাওয়াদাওয়া কর, জামাকাপড় পর, মানুষের সঙ্গে কথা বলো। আর এই সব বিষয় আমার কখনো কখনো অতিরিক্ত মনে হয়। কিন্তু এআই-এর মাধ্যমে যখন ইচ্ছা থেরাপি নেওয়া সম্ভব। এজন্য বাইরেও বেরোতে হবে না। ঘরে দিব্যি আরামেই বিষয়টা করা যাবে।
মেলিসা আসলে শৈশব থেকেই নিগ্রহ এবং মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়ে এসেছেন। গত প্রায় আট মাস ধরে ক্যারেক্টার এআই অ্যাপের মাধ্যমে একটি এআই চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। আর ওই এআই চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলে এবং হিউম্যান থেরাপিস্টের সঙ্গে কাজ করে মানসিক যন্ত্রণার উপসর্গগুলো অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিল।
ক্যারেক্টার এআই হচ্ছে একটা এআই চ্যাটবট। যেটা নিউজিল্যান্ডের স্যাম জাইয়া নামের ৩০ বছর বয়সী এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন। সাইকোলজিস্ট এআই চ্যাটবটটিকে তিনি রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সাইকোলজি ডিগ্রির স্নাতক পাঠের সময় যা যা পড়ানো হয়েছিল, সেগুলোই চ্যাটবটটিকে পড়িয়েছিলেন তিনি।
তবে পড়াশোনা-পরীক্ষার চাপে এই চ্যাটবটটির কথা কয়েক মাস ভুলেই গিয়েছিলেন জাইয়া। পরে যখন লগ-ইন করেন, তখন দেখেন প্রচুর মেসেজ এসেছে এবং বহু ব্যবহারকারীই ওই সাইকোলজিস্ট চ্যাটবটটি ব্যবহার করছেন।
এই এআই চ্যাটবটগুলি কোনো এক কাল্পনিক, ঐতিহাসিক এবং সেলিব্রিটি চরিত্রকে অনুকরণ করে। মেলিসা যে চরিত্রটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন, সেটি হলো এক সাইকোলজিস্ট বট।