বিকেলের মধ্যেই সব সামাজিক মাধ্যম চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আজ (বুধবার) বিকেলের মধ্যেই বন্ধ থাকা ফেসবুক-ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটগুলো চালু করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতামূলক কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগে বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে বাংলাদেশে মেটার তিনটি প্ল্যাটফর্ম (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ) এবং টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিনে সহিংসতার ঘটনা সংক্রান্ত বিভিন্ন কনটেন্ট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল সরকার। ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

তিনি বলেন, টিকটকের প্রতিনিধি শারীরিক ভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। আনুমানিক সাড়ে সাত লাখের উপরে কনটেন্ট টেকডাউন করেছে টিকটক। আমাদের অনুরোধ তারা নিয়েছে। তাদের টেকডাউনের হার ৬০-৭০ শতাংশ।

পলক বলেন, আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানাতে চাই, আমরা বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। এক-দুই ঘণ্টা হয়তো সময় লাগবে। আশা করছি বিকেলের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। ভিপিএন ব্যবহার করায় অনেক ব্যান্ডউইথ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতি এবং তথ্য চলে যাওয়ারও ঝুঁকি রয়েছে।

তিনি বলেন, ফেসবুক-ইউটিউব ও টিকটককে বাংলাদেশে তাদের অফিস স্থাপনের অনুরোধ করেছি। আমরাও চাই এ দেশে তাদের বিনিয়োগ হোক। বাংলাদেশে অফিস ও ডেটা সেন্টার স্থাপন করলে আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব। আমরা হোয়াটস্যাপ ওপেন করে দিচ্ছি। সবগুলোই ওপেন করে দিচ্ছি। তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চালু হবে।

এর আগে সকালে মেটার (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম) সিঙ্গাপুরের এশিয়া সদর দপ্তরের সঙ্গে (অনলাইন প্লাটফর্মে) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন, মিস-ইনফরমেশন, ডিস-ইনফরমেশনজনিত যেকোনো অস্থিরতা নিরসনে ফ্যাক্ট চেকিং জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৮ জুলাই সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ের কিছু ভিডিও কন্টেন্টের ব্যাপারে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে চিঠি দিয়ে তলব করে সরকার। চিঠিতে তাদের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে ৩১ জুলাই সশরীরে বিটিআরসিতে প্রতিনিধিদের হাজির হতেও বলা হয়েছিল।