ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: যেকোনো ভাবেই আপনার আইফোনটি ভিজে যেতে পারে। আইফোনের স্পিকারে পানি ঢুকে গিয়েছে। আওয়াজ বা শব্দ দিয়েই সেই পানি বের করা সম্ভব। এমনই দাবি করেছেন এক ইউটিউবার। শুধু দাবি করেই থামেননি তিনি, রীতিমতো হাতে কলমে করেও দেখিয়েছেন।
‘সাউন্ড টু রিমুভ ওয়াটার ফ্রম ফোন স্পিকার (গ্যারান্টেড)’ নামের একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, কম ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ বা আওয়াজের মাধ্যমে আইফোনের স্পিকার থেকে পানি বের করছেন ইউটিউবার।
ভিডিওতে এই পরীক্ষাটি করেছেন দ্য ভার্জের ডেভিড পিয়ার্স। আইফিক্সইট-এর অভিজ্ঞরা তা যাচাই করে দেখে কার্যকারিতা নিশ্চিতও করেছেন। চার বছর আগে ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল এই ভিডিও। সম্প্রতি সেটাই নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। ভিউ হয়েছে ৪৫ মিলিয়নেরও বেশি। কিন্তু এভাবে কী সত্যিই আইফোন থেকে পানি বের করা সম্ভব?
ডেভিডের দাবি, সম্ভব। এক নয়, একাধিক ভিডিওতে এই দাবি করেছেন তিনি। ইউভি মেশানো পানিতে আইফোন ১৩ চুবিয়ে এই বিশেষ প্রক্রিয়ায় সারারাত শুকনোর কাজ করেন তিনি। ফলাফল চমকে দেওয়ার মতো। শুধু আইফোন নয়, গুগল এবং নোকিয়ার স্মার্টফোনের স্পিকার থেকেও একই ভাবে পানি বের করে দেখিয়েছেন তিনি।
শব্দের নিজস্ব কম্পন রয়েছে। ফোন শুকোতে এই কম্পনকেই কাজে লাগাচ্ছেন ডেভিড। প্রথমে জোরে আওয়াজ, যার কম্পনের মাত্রা অনেক বেশি। তারপর কম টানা ফ্রিকোয়েন্সির কম্পন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে স্পিকারের পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়েছে। তবে আইফোনের অন্যান্য অংশে পানি যেমনকার তেমনই রয়ে গিয়েছে। আইফোন যদি পানিতে পড়ে যায়, এভাবে শুকনো যাবে না। শুধু স্পিকারে পানি ঢুকে গেলে এই প্রক্রিয়া কাজে লাগতে পারে।
এ রকমই একটা ফিচার অ্যাপল ওয়াচে রয়েছে। ডিভাইসে পানি ঢুকে গেলে শব্দের কম্পনের মাধ্যমে তা বের করা হয়। স্মার্টফোনের চেয়ে অ্যাপল ওয়াচ আকারে ছোট। অভ্যন্তরীণ জটিলতাও কম। ফলে এই পদ্ধতি কাজ করে ভালো। প্রসঙ্গত, আইফোন ১৫ সহ নতুন মডেলগুলো ওয়াটার প্রুফ। ছয় মিটার গভীর পানিতে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিলে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে বেশিক্ষণ রাখলে পানি ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: নিউজ১৮