সুমন ইসলাম: নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিন। এরই মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের মন মতো ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু ভাড়া তুলতে দিয়ে বাসের কন্ডাকটরদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন যাত্রীরা।
বাস যাত্রী হেমায়েত বলেন, মুগদাপাড়া থেকে আসাদ গেট যেতে ভাড়া ছিল ৩৫ টাকা এখন প্রতি চেকে ৫ টাকা ৫০ টাকা আদায়ের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে তর্ক হচ্ছে একাধিক যাত্রীর সঙ্গে।
এ বিষয়ে লাব্বায়েক বাসের কন্ডাকটর মঈন জানান, আমাদের কিছুই করার নেই। আজ অনেক মালিক তাদের বাস বন্ধ রেখেছেন। কিছু মালিক তাদের বাস রাস্তায় নামিয়েছেন। কিন্তু নির্দে শনা দিয়েছেন প্রতি চেকে ৫ টাকা করে বেশি নেওয়ার জন্য পাশাপাশি হাফ পাস কিংবা পুলিশ পাস না কাটার জন্য।
দীর্ঘ সময় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা উম্মে হাবিবা জানান, দেড় ঘণ্টা বাসাবো লাইনে রয়েছেন। দু একটি বাস আসলেও ভিরের কারণে উঠতে পারছেন না।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে গণপরিবহনের ভাড়া দ্রুত সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। তা না হলে যাত্রীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায় বলে আশঙ্কা করছেন তারা। পরিবহন নেতারা বলছেন, তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনের ভাড়া সমন্বয় না হলে সড়কে তার প্রভাব পড়বে।
একাধিক বাস মালিক জানান, যে হারে লিটারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, সে হারে ভাড়া না বাড়ালে গাড়ি রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়। লস দিয়ে কেউ সড়কে গাড়ি নামাবে না। ভাড়া সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত যদি বাসে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা হয়, তাহলে সমস্যা হবে। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সরকারকে দ্রুততম সময়ে ভাড়ার বিষয়টি সুরাহা করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালিকরা ভাড়া না বাড়ানোর আগ পর্যন্ত গাড়ি রাস্তায় নামাতে রাজি নন। এতে করে শনিবার সকাল থেকে গণপরিবহন সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাব পড়বে সাধারণ যাত্রীদের ওপর। বিশেষ করে অফিসগামীরা ভোগান্তির সম্মুখীন হবেন।
মহাখালী বাস টার্মিনাল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা চাই তেলের দাম বাড়ার পাশাপাশি ভাড়া পুন: নির্ধারণ করা হোক। আমরা বাস মালিকদের বলেছি তারা যেন তাদের গাড়ি রাস্তায় নামান।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর (৬ আগস্ট) থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ৮৯ টাকার অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা, ৮৬ টাকার পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা, ৮০ টাকার ডিজেল ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ এবং ৮০ টাকার কেরোসিন ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।