১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি ২৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে সরকার। শুক্রবার (১২ মার্চ) অনুমতির চিঠি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়।
জাগো নিউজের মাধ্যমে জানা যায়, এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ চাল এখনো বাজারে আসেনি। এর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বাকিদের বরাদ্দের চাল আমদানি করে বাজারজাতের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানাবিশিষ্ট আতপ চাল শর্তসাপেক্ষে আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২২ মার্চের মধ্যে এলসি খুলতে হবে। এলসি খোলা সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারককে এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পুরো চাল বাজারজাত করতে হবে।
এছাড়াও বরাদ্দে অতিরিক্ত আইপি (ইম্পোর্ট পারমিট) জারি বা ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা যাবে না। প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এসি খুলতে না পারলে বরাদ্দ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।