ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ঈদ এলেই ফিটনেস বিহীন লক্কড় ঝক্কর গাড়ির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বহু বছরের পুরোনো গাড়ির বডিতে রং চং দিয়ে নতুন করে সাজানো হয় যাত্রীদের আকর্ষণের জন্য।
ঈদকে সামনে রেখে এসব লক্কড় ঝক্কর গাড়ি মেরামতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ওয়ার্কসপের কারিগর ও রং মিস্ত্রিরা।
ঈদ যাত্রায় দূর পাল্লার ও ঢাকার আশে পাশের মানুষের চাপের বিপরীতে যানবাহন সংকট দেখা যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির পরিবহন ব্যবসায়ী ভালো মন্দ বিচার না করে রং করা পুরোনো গাড়ি নামান রাস্তায়। বাড়তি চাপে যাত্রীরা হাতের কাছে যা পান সেসব গাড়িতেই উঠে যাত্রা শুরু করেন।
রং লাগানো এসব গাড়ি সড়কে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে কোথাও না কোথাও বিকল হয়ে পড়ে থাকে। ফলে বেড়ে যায় দুর্ঘটনাও। তৈরি হয় যানজট। দুর্ঘটনার কারণ এসব লক্কর ঝক্কর এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি। এসব গাড়ির কারণে ঈদে ঘরমুখো মানুষ রাস্তায় রাস্তায় ভোগান্তির শিকার হন।
মিরপুর এলাকা ঘুরে দেখা মেলে রাস্তার ওপরে ভাঙা-চোরা পুরাতন গাড়িতে দিন রাত রং করে যাচ্ছেন।
ঈদের সময় বহু বছরের পুরাতন এসব গাড়ি মেরামত করে নতুন সাজে সড়কে নামানো হবে। বিশেষ করে ২৫-২৬ রোজার পর ওপরে ফিটফাট গাড়িগুলো সড়কে নামানো হবে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কসপের কর্মচারীরা।
রং মিস্ত্রিরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে পুরোনো গাড়িগুলো রং করে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে যাতে করে যাত্রীরা আকৃষ্ট হন। সময়মতো ডেলিভারি দেওয়ার জন্য দিন-রাত গাড়িতে রঙের কাজ করে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে।
যাত্রীদের কেউ কেউ বলছেন, প্রশাসনের নজরদারি থাকলে ঈদে পুরোনো ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।