ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এক ঘণ্টা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস আটকে রাখে বিক্ষোভকারীরা। পরে মামলা গ্রহণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা রেললাইন ছেড়ে দেন।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এসে পৌঁছালে আন্দোলনকারীরা লাইনে বসে পড়েন। পরে ট্রেনটি ৩টা ৪০মিনিটের দিকে ছেড়ে যায়।
এ সময় রেলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সফি নুর মোহাম্মদ ও সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ মমতাজ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে এমন আশ্বাসে লাইন ছেড়ে দেন তারা।
আন্দোলনকারী টিকেট কালেক্টর মোহাম্মদ রিপন বলেন, আমাদের ওপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হামলা চালিয়। হামলায় আমাদের নিরাপত্তা কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার মাথা ফেটে গেছে ও হাত ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় হামলাকারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহনেওয়াজসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে রেল পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। পরে আমরা মামলা করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া টালবাহানা শুরু করে। পরে রাত ২টায় থানায় থাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
রেলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ জানান, ঘটনাস্থল ও টিকেট কালেক্টর রুম পরিদর্শন করেছি। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হয়। ফুটেজে রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলা করতে দেখা গেছে। হামলার সময় তাদের কাছে লাঠি দেখা গেছে।
এর আগে বুধবার বিকেলে দিনাজপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ নেওয়াজ ও তার অফিস সহকারী দিনাজপুর স্টেশনে আসেন। এসময় স্টেশনের কর্তব্যরত টিকেট কালেক্টর মোহাম্মদ রিপন ও দায়িত্বরত স্টেশন কর্মকর্তারা তার কাছে টিকেট দেখতে চান। এসময় রিপনের সঙ্গে উপ-পরিচালক শাহ নেওয়াজের বাদানুবাদ লেগে যায়। পরে শাহ নেওয়াজকে টিকেট কালেক্টর রুমে নিয়ে যান। এসময় খবর পেয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৯জন কর্মকর্তা-কর্মচারী টিকেট কালেক্টর রিপন ও দায়িত্বরত স্টেশন কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়।