ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাস মালিকদের প্রস্তাবে ভাড়া বাড়িয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ডিজেলচালিত গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হলেও গ্যাসচালিত বিভিন্ন যানবাহনের চালক-হেলপারদের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস ও ২ নম্বর গেট মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ডিজেলচালিত গাড়িতে লাল এবং গ্যাসচালিত গাড়িতে সবুজ স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর ট্রাফিক পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আলী হোসাইন, সহকারী কমিশনার (এসি) মমতাজ উদ্দিন, পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অতিরিক্ত মহাসচিব মো. আহসান উল্লাহ চৌধুরী হাসান ও যুগ্ম-সম্পাদক মো. শাহজাহান, বিআরটিএ ও বিভিন্ন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর জরুরি সমন্বয় সভা করে গাড়িতে লাল-সবুজ স্টিকার লাগানোর নির্দেশনা দেন নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মো. তানভীর।
এ বিষয়ে ট্রাফিক উত্তর জোনের ডিসি আলী হোসেন বলেন, ‘প্রথম দিনে শতাধিক গাড়িতে লাল-সবুজ স্টিকার লাগানো হয়েছে। যেসব গাড়িতে স্টিকার লাগানো হচ্ছে, তার একটি তালিকা আমরা প্রস্তুত করেছি। ওই তালিকা অনুযায়ী কিছুদিন পর আবার খোঁজ নেওয়া হবে, স্টিকার তুলে ফেলা হচ্ছে কি না। আশা করি, যাত্রীরা স্টিকার দেখে সরকারনির্ধারিত ভাড়া দিয়ে চলাচল করবেন।’
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম-সম্পাদক মো. শাহজাহান বলেন, ‘কিছু চালক-শ্রমিকদের মনোভাবের কারণে আমরা মালিকরা অনেক সময় লজ্জিত হই। গ্যাসচালিত গাড়ির মালিকরা আগে যে ভাড়ায় চালক-শ্রমিকদের গাড়ি দিতে, বর্তমানেও তাতেই দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এ হয়রানি থেকে বাঁচাতে নগরে চলাচল করা ডিজেলচালিত গণপরিবহনে লাল এবং গ্যাসচালিত গাড়িতে সবুজ স্টিকার লাগানোর হয়েছে। আমরা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে একমত।’