ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দরের চরপাড়ায় শ্রমিকদের মারধর ও লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এবং চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন লাইটারেজ শ্রমিকরা।
শুক্রবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
এর ফলে বন্দর থেকে নৌপথে সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন শ্রমিক নেতারা।
এদিকে, লাইটারেজ শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে বন্দরের বহিঃনোঙর থেকে সারাদেশে আমদানি পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। যে জাহাজগুলো পণ্য বোঝাই করে গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেগুলো অলস বসে রয়েছে। আবার কর্ণফুলী নদীর বেসরকারি ঘাটগুলোতেও লাইটারেজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। তবে জ্বালানি পরিবহন ধর্মঘটের বাইরে রাখা হয়।
পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে- চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের অপসারণ, পতেঙ্গা থানার ওসির অপসারণ, চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, সাঙ্গু নদীর মুখ খনন এবং লোড ও খালি লাইটার জাহাজ বহিঃনোঙরে সার্ভে করা।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নবী আলম বলেন, লোড-আনলোডের অপেক্ষমাণ লাইটারেজগুলো আগে কর্ণফুলী নদীর উজানে রাখা হতো। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় গত দেড় বছর ধরে সরিয়ে জাহাজগুলো পতেঙ্গা সৈকতের সামনে বহিঃনোঙরের কাছে রাখা হয়। তখন থেকে শ্রমিকদের ওঠানামার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ চরপাড়া ঘাট নির্মাণ করে দেয়। অতি সম্প্রতি চরপাড়া ঘাট ইজারা দেওয়া হয়। ঘাট ইজারা দেওয়ার পর থেকে অন্যায্য বেশি টাকা আদায় করা নিয়ে প্রতিবাদ করলে শ্রমিকদের উপর হামলা ও লাঞ্ছিত করা হচ্ছিল। এরপর শ্রমিকরা পতেঙ্গা সৈকত এলাকা সংলগ্ন চায়নিজ ঘাট ব্যবহার শুরু করে।
তিনি বলেন, শ্রমিক হামলার ঘটনায় আমরা পতেঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ প্রথমে অভিযোগই নিতে চায়নি। পরে নিলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু একদিন আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ চায়নিজ ঘাটটি উচ্ছেদ করে দেয়। চায়নিজ ঘাট উচ্ছেদ করায় শ্রমিকরা বাজার করার জন্যও নামতে পারেনি। তাই শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট চলবে।