ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: পরিবার নিয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছিলেন রুহুল কুদ্দুস নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু টিকিটে লেখা বগি ছিল না সেই ট্রেনে। অবশেষে নির্ধারিত আসনসহ টিকিট কেটেও ট্রেনের বগি খুঁজে না পেয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সেই যাত্রী।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে দায়ের করা অভিযোগে টিকিট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ডিনসন জেডিকে অভিযুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে ট্রেনে কর্তব্যরত গার্ড (পরিচালক) ও টিটিই (ট্রাভেল টিকিট এক্সামিনার) এর বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার বাসিন্দা মো. রুহুল কুদ্দুছ অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১৮ আগস্ট ঢাকা যাওয়ার জন্য তিনি ১৪ আগস্ট উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি টিকিট (একটি প্রাপ্ত ও দুটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক) কেনেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা যাওয়ার টিকিট না পেয়ে তিনি নোয়াখালী-ঢাকার টিকিট কাটেন, যার বগি নম্বর ‘ছ’ ও সিট নম্বর ৩৩ থেকে ৩৫। ১৮ আগস্ট ১১ ও ছয় বছর বয়সী দুই মেয়ে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে এসে ‘ছ’ বগি খুঁজে না পেয়ে ‘চ’ বগিতে ওঠেন।
ট্রেনটি আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে তিনি কর্তব্যরত গার্ডের সহযোগিতা চাইলে ‘ছ’ বগি সংযুক্ত নেই জানিয়ে ওনার কিছু করার নেই বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে তিনি টিটিইর সহযোগিতা চাইলে পুলিশের ভয় দেখানো হয়। এ সময় তার দুই মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। এ অবস্থায় তিনি ট্রেনের ‘চ’ বগির একটি টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েদের নিয়ে ঢাকায় আসেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’