ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: হাইকোর্ট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ট্রাক ও ট্যাংকলরির টোল আদায় বন্ধ হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমানারা বন্যা এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (২৯ জুন) হাইকোর্টের ডিভিশন ব্যাঞ্চের বিচারক জে বি এম হাসান ও সর্দার রাশেদ জাহাঙ্গীরের আদেশে ২০২৩ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও ট্রাক ও ট্যাংকলরি মালিক সমিতি ২০১৫ সালে পৌরসভায় টোল আদায় বন্ধের জন্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। সে সময় হাইকোর্ট আমলে নিয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে টোল আদায়ের বন্ধের জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ না মেনে পৌর কর্তৃপক্ষ পুনরায় শহরের তিনটি স্থানে টোল আদায় করে।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও ট্রাক ও ট্যাংকলরি মালিক সমিতি হাইকোর্টে আবারও টোল বন্ধের জন্য রিট করে। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ জুন হাইকোর্টের ডিভিশন ব্যাঞ্চের বিচারক জে বি এম হাসান ও সর্দার রাশেদ জাহাঙ্গীরের আদেশে ২০২৩ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ দেন।
ঠাকুরগাঁও ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, শহরে অবৈধ ভাবে টোল আদায় করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। লোড ও আনলোডের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ টোল আদায়ের চুক্তি করে ইজারা দিলেও সেই নীতি অনুসরণ করে না ইজারাদাররা। তারা পৌর শহরে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে টোল আদায় করছে।
ঠাকুরগাঁও ট্রাক ও ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া প্রমানিক বলেন, আমরা পৌর শহরের মধ্যে টোল বন্ধের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। ২০২১ সালে টোল আদায় বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি আদেশ পাস হয়। কিন্তু সেই আদেশ মানছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য টোল বন্ধের জন্য হাইকোর্টে রিট করি। হাইকোর্ট এক বছরের জন্য টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ দেন।
পৌর মেয়র বন্যা বলেন, আমি নিজেও ট্রাক, ট্যাংকলরির কাছ থেকে টোল আদায়ের বিরোধী। ২০১৮ সালে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে কী করে টোল আদায় হচ্ছিল সেটা ঠিক আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিগত মেয়র কোন প্রকার ব্যবস্থা নেননি। নতুন আদেশের একটি কপি আমার হাতে এসেছে। শিগগির হাইকোর্টের আদেশ আমলে নেওয়া হবে।