ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। গত ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ১৪০৮টি বাসকে ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করেছে।
অভিযানে ৮০টি সিএনজি ও ১৩২৮টি ডিজেল চালিত বাসকে জরিমানা করা হয়েছে। বিআরটিএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে গত ৮ নভেম্বর সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে গণপরিবহনে বিআরটিএর অভিযান শুরু হয়। মাসব্যাপী এই অভিযানে রুট পারমিট না থাকা, জরিমানা অনাদায়সহ বিভিন্ন অপরাধে ৫৬টি বাসকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ বাস চালককে বেপরোয়া গাড়ি চালনা ও সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একই অপরাধের পুনরাবৃত্তিকারী (তিন বার বা তারও বেশিএকই অপরাধকারী) ২৫টি কোম্পানির বাসের তালিকা রুট পারমিট বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা মেট্রো আরটিসি কর্তৃপক্ষের কাছে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।
এই তালিকা সবচেয়ে বেশি অপরাধকারী বাস কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করা বসুমতি (১৬ বার), রাইদা (১৩ বার), পরিস্থান (১১ বার), অনাবিল (১০ বার), আলিফ (৯ বার), লাব্বাইক (৮ বার), তুরাগ (৭ বার), বলাকা (৭ বার), স্বাধীন (৭ বার), প্রজাপতি (৬ বার), রজনীগন্ধা (৬ বার), শিকড় (৬ বার), আকাশ (৫ বার), আজমেরী (৫ বার), মনজিল (৫ বার), প্রভাতি (৫ বার), বনশ্রী (৫ বার), আসমানী (৩ বার), প্রচেষ্টা (৩ বার), ডিক্টর (৩ বার), মিডলাইন (৩ বার), ডি-লিংক (৩ বার), রাজধানী (৩ বার), গুলিস্তান-গাজীপুর পরিবহন (৩ বার) ও ভিআইপি পরিবহন কোম্পানির বাস (৩ বার) একই অপরাধ করছে বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এসব বাসের বিরুদ্ধে রুট পারমিট বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তালিকা রিজিওন্যাল ট্রান্সপোর্ট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
মাসব্যাপী অভিযানকালে বিভিন্ন সময়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিএর সচিব ও পরিচালকরা ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা পরিদর্শন করেন। তারা শিক্ষার্থীদের হাফ পাস কার্যকর এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের বিষয়টি মনিটরিং করেন।