ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চের প্রতি শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে। প্রতিটি ডাবল কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিনে বেড়েছে ১০০ টাকা, চেয়ার ও ডেকে বেড়েছে ৫০ টাকা করে। ভাড়া বাড়ায় যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকার যে ভাড়া নির্ধারণ করেছে, অধিকাংশ লঞ্চে যাত্রীদের থেকে তার চেয়ে কম নেওয়া হবে।
ঈগল লঞ্চের সুপারভাইজার আজগর আলী বলেন, ‘আগে ডেকের ভাড়া ছিল ১৫৬ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০৪ টাকা। চেয়ারের ভাড়া ২২০ থেকে বেড়ে ২৫০ টাকা, বিজনেস ক্লাসের চেয়ারের ভাড়া ৩৫০ থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ৭০০ থেকে বেড়ে ৮০০ টাকা, ১২০০ টাকার ডাবল কেবিনের ভাড়া এখন ১৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এতো টাকা দিয়ে যাত্রীরা হয়তো যেতে চাইবেন না। তাই কোনও কোনও লঞ্চ ভাড়া একটু কম নিতে পারে। মালিকরা এগুলো নিয়ে বসবেন। হয়তো অনেক লঞ্চ কেবিনের আগের ভাড়াই রাখবেন। তবে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণার পর যাত্রী আগে থেকে অনেক কমে গেছে। ডাবল কেবিনের ভাড়া আমরা এখনো ১২০০ টাকাই নিচ্ছি।’
এমভি রফরফ লঞ্চের সুপারভাইজার বিপ্লব সরকার বলেন, ‘মালিক সমিতি ও সরকারের সমন্বয়ে যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, সব লঞ্চের ভাড়া সেটিই। হয়তো কিছু কিছু লঞ্চ প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে ভাড়ায় ছাড় দেবে। আবার কেউ কেউ নির্ধারিত ভাড়াই নেবে। এর আগেও যখন সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে তখন সিঙ্গেল কেবিনের ছিল ৭০০ টাকা এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া ছিল ১২০০ টাকা। কিন্তু অনেকে ভাড়া কমিয়ে ৫০০ ও এক হাজার টাকাও নিতো। এবারও যে ভাড়া বেড়েছে হয়তো লঞ্চগুলো কেবিনের ক্ষেত্রে কিছু কম নিতে পারে। ভাড়া বাড়ায় যাত্রী সঙ্কটে ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথে কয়েকটি লঞ্চ বন্ধ আছে।’
চাঁদপুর নদী বন্দর কর্মকর্তা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথের দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার। সেই হিসাবেই যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া বেড়েছে। ইতোমধ্যে পুনর্নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে।’