ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনার তিন দিন পর আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক স্বাভাবিক হয়েছে। চলছে দূরপাল্লার বাস।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কোনো কর্মসূচি নেই। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। যান চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য বিনোদপুর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস নজরে রাখছেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের জেরে গত শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক বন্ধ ছিল। এতে বন্ধ ছিল দূরপাল্লার যান চলাচল। তবে বিকল্প পথে চলছিল এসব যান। নাটোর থেকে আসা যানবাহনগুলো শহরে প্রবেশ করতে বুধপাড়া ফ্লাইওভার ব্যবহার করছিল। আর বাজারের দিক থেকে কাটাখালীর দিকে আসা ছোট যানবাহন ফুলতলা বালুরঘাট হয় যাচ্ছিল। এছাড়া বাসগুলো সিরইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ভদ্রা মোড় দিয়ে নতুন বাইপাস হয়ে নাটোরের দিকে যেতে দেখা যায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় গত রোববার (১২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের রেললাইন আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহী রেলস্টেশনের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া বাকি সব জেলার রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল প্রায় চার ঘন্টা। পরে রাত ২টার দিকে আবার রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাসের ভাড়া নিয়ে সুপারভাইজার ও হেলপারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় এক রাবি শিক্ষার্থীর। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ব্যবসায়ীদের ইটপাটকেল ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের অনেকেই সুস্থ হয়ে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে মোহাম্মাদ নামের একটি বাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন এক ছাত্র। যাত্রাপথে ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারের বাগবিতণ্ডা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে বাসেট কাউন্টারে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।