ভাড়া বাড়ানোর পর রাজধানীর গাবতলী টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বাড়তি ভাড়ার নতুন তালিকা এখনো করা হয়নি। অথচ টিকিট কাউন্টারগুলোতে ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালের কাউন্টার ঘুরে এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে নতুন বাসভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে বাস মালিকরা এখনো ভাড়ার তালিকা করেননি। ফলে ইচ্ছেমতো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এসময় নতুন নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও টিকিট বিক্রেতাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হচ্ছে। তবে নিরূপায় হয়ে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যাত্রা করছেন।
ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে চলাচল করা গোল্ডেন লাইন পরিবহনেও ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দূরত্ব অনুযায়ী প্রতি টিকিটে এ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৫০-১০০ টাকা বেশি আদায় করছে।
গোল্ডেন লাইনের টিকিট বিক্রেতা ফরিদ মিয়া বলেন, ‘মালিকপক্ষের নির্দেশে আগের চাইতে ভাড়া কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে ভাড়ার নতুন তালিকা আসলে সে অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করা হবে।’
ঝিনাইদহ যাবেন মো. হায়দার মিয়া। তিনি ৫০০ টাকায় ঈগল পরিবহন বাসের টিকিট নিয়েছেন। আগে ভাড়া ৪৫০ টাকা নেওয়া হলেও এখন বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তার।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি কাউন্টার ঘুরে দেখলাম, সবাই ভাড়া বাড়িয়ে টিকিট বিক্রি করছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া টিকিট নিতে হলো।’
এছাড়া উত্তরবঙ্গ রুটে চলাচল করা সব পরিবহনের বাসের টিকিটপ্রতি ১০০ টাকা করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। পরিবহন মালিকের নির্দেশে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এস আর ট্রাভেলসের টিকিট বিক্রেতা সুজিত।
তিনি বলেন, ‘নতুন ভাড়ার তালিকা না পেলেও মালিক নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি টিকিটে ১০০ টাকা বাড়তি ভাড়া নিতে। এ কারণেই আমরা বাড়তি ভাড়া যোগ করে নিচ্ছি। নতুন তালিকা আসলে সে অনুযায়ী ভাড়া আদায় করা হবে।’