ডিজেল ও করোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করেছে সরকার। জ্বালানির তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা সারাদেশে ধর্মঘট শুরু করেছেন ভাড়া বৃদ্ধির দাবি নিয়ে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শনিবারও সারাদেশে বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
তবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাস বন্ধ হলেও সিএনজিচালিত বাস মালিকরা কেন ধমর্ঘট পালন করছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা গনমাধ্যমকে জানান, সিএনজির দাম তো সরকার বাড়ায়নি। আমাদের জিম্মি করে ভাড়া বেশি নিতেই এই ধর্মঘট। সরকারও কিছু করছে না।
আলিফ পরিবহণের নিয়মিত এক যাত্রী বলেন, আজ বাস নেই। সিএনজি চারশো টাকা চাইছে। মোটারসাইকেল আড়াইশোর নিচে যেতে চাইছে না। অফিসে দেরি হলে আবার বেতন কাটবে। এসবতো কেউ দেখে না।
তিনি বলেন, ডিজেলের দাম বাড়াল, গ্যাসচালিত গাড়ি বন্ধ হল কেন? জবাব নেই। কী অপরাধ আমাদের যে বাড়তি খরচ করে অফিস করতে হবে।
আরেক যাত্রী বলেন, অধিকাংশ সিটি সার্ভিসই গ্যাসে চলাচল করে। অথচ তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সব বাস বন্ধ করে দেওয়া হলো। আর সুযোগ পেয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাও দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দাবি করছে।
তার মতে, মালিক-শ্রমিকদের এ ধর্মঘট তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ না, এটা ভাড়া বাড়ানোর আন্দোলন। যে যার মতো সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লুটপাট চালাচ্ছে, দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘এখন অল মোস্ট সব যাত্রীবাহী পরিবহণ ডিজেলে চলে। আগে যেসব বাস সিএনজিতে চলত সেগুলো ডিজেলে কনভার্ট করা হয়েছে। কারণ সিএনজিতে কনভার্ট করলে ছয় মাসের বেশি টিকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে শতকরা ১-২ ভাগ বাস সিএনজিতে চলে। এরমধ্যে মিনি ট্রাকও রয়েছে।’
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আগামীকাল রোববার বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ওই বৈঠকে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা না আসা পর্যন্ত পরিবহণ খাতের এ অচলাবস্থার নিরসন হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।
যদিও সরকারের তরফ থেকে শুক্রবার পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। ওই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।