ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসিবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে সকালে যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করে। ঘাট এলাকায় মানুষের চাপ থাকলেও কোনো ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ নদী পার হয়ে কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন।
শুক্রবার (৬ মে) সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট এলাকায় দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ থ্রি-হুইলার, অটোরিকশা, লোকাল বাসে করে ঘাটে এসে সহজেই ফেরি ও লঞ্চের দেখা পাচ্ছেন। ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মাপাড়ি দিয়ে তাদের কর্মস্থলে ফিরছেন।
সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিলো অর্ধশতাধিক যানবাহন। এসব দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেই ফেরির দেখা পেয়েছিল। ফলে যাত্রী ও চালকদের তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। বেলা ১টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া মডেল স্কুল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার যাত্রীবাহী বাসের সারি দেখা যায়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের এ সাড়ি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাট ও জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ২০টি ফেরি ও ২৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আলম মিলন জানান, সকালে ঘাট এলাকায় যাত্রীর চাপ ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে এই রুটে ২৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়তে থাকে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত ফেরি রয়েছে। ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ নদী পার হতে পারবে। বর্তমানে এ রুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, সবার আন্তরিকতায় এবার স্বস্তিতে কর্মস্থলে ফিরতে পারছে মানুষ। পুলিশ সদস্যরা ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রা উপহার দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে ফেরিঘাটে আসা যাত্রীদের ধৈর্য্য ধরে ফেরি পার হওয়ার আহ্বান জানান জেলা পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।