সুমন ইসলাম: চারদিন ধরে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। এরই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যাত্রী পরিবহণে ভাটা পড়েছে। অনেকে নৌযানগুলো বিকল্প ব্যবহারের পথ খূঁজছে বলে জানাগেছে।
লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে নৌযান যাত্রী কমেছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলগামী নৌযানে বেশি প্রভাব পড়েছে।
সময় ও টাকা স্বাশ্রয়ী হওযায়, নৌযানের যাত্রীরা নদী পথ ছেড়ে সড়কে যাতায়াত করছেন। ফলে অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন নৌযান মালিকরা। অনেক ক্ষেত্রে নৌযানগুলোর তেলের খরচও উঠছে না।
নৌযান মালিক (যাত্রী পরিবহণ) সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. বদিউজ্জামান খান বাদল ভোক্তাকন্ঠকে জানিয়েছেন, পদ্মাসেতু হওয়ার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ যাত্রী কমেছে। যাত্রীরা যেভাবে যেতে স্বাচ্ছন্দ মনে করছেন সেভাবেই যাচ্ছেন। তবে নৌযানালিকদের দিকে সরকারের নজর দেয়া প্রয়োজন বলেও মতামত দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, খরচ পোষাতে লঞ্চ মালিকদের মধ্যে অসম প্রতিযোগীতা তৈরি হয়েছে। ফলে অনেকে কম টাকা নিয়ে যাত্রী পরিবহণ করছে।
রাবেয়া শিপং লাইন্সের স্বত্তাধিকারী শহিদুল ইসলাম ভূইয়া ভোক্তাকন্ঠকে বলেন, গত ৫ দিনে লঞ্চে যাত্রী ৫০- ৬০ শতাংশ কমেছে। অনেক সময় তেলের খরচ ও উঠছে না। প্রতি ট্রিপে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, আর্থিক ক্ষতির ফলে ব্যাংক লোন পরিশোধ করা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। অনেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে বিকল্প আয়ের কথা ভাবছেন। তিনি ভাসমান রেস্তারা করার কথাও ভাবছেন।
সদরঘাট নৌবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির ভোক্তাকন্ঠকে জানান, গত ৫ দিনে নৌযাত্রী যেমন কমেছে, তেমনি নৌযান ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যাও কমেছে। পদ্মাসেতু চালুর আগে যেখানে ৭৫ টি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও এখন ছেড়ে যাচ্ছে ৬০- ৬৫ টি লঞ্চ। যাত্রীর ও নেই চাপ। তবে অচিরেই একটা খারাপ প্রভাব পড়বে বলেও জানান তিনি।