ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন- এ ছয় দিনে ফেরি দিয়ে সাধারণ ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌপথে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল সংক্রান্ত ‘ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা’ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের যাত্রী সেবা নিয়ে বৈঠক করেছি। ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ২২ এপ্রিল। ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া ফেরি দিয়ে সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড় থাকে। এ জন্য নৌ চলাচলের জন্য সংকেত মেনে চলতে হবে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, নৌ পুলিশকে আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সদরঘাট এলাকায় বিশেষ করে যখন লঞ্চগুলো আমাদের এখান থেকে ছেড়ে যাবে তখন বড় লঞ্চগুলো ভিড়বে তখন ছোট ছোট নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এটা কঠোর ভাবে দেখছি। সন্ধ্যার পরে কোনো বাল্কহেড চলাচল করবে না। এটা আরও কঠোর ভাবে দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে বিভিন্ন বন্দর আছে সেখানে যাত্রী সেবার জন্য বাথরুম-টয়লেট ফেসিলিটিজ যেগুলো রয়েছে সেগুলোর মান আরও বাড়াতে হবে। আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় আমরা ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছি। হরিনা-আলু বাজারেও ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যেন নির্বেঘ্নে নৌ সেবা নিতে পারে সে জন্য সবাইকে নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরাতন যে লঞ্চ অনেকে সরিয়ে ফেলেছে। আধুনিক লঞ্চ সংযুক্ত হচ্ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছিল পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আর নৌপথ ব্যবহার করবে না। কিন্তু কথাটা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। নৌপথে চলাচলের আগ্রহ কমে যায়নি বরং আগ্রহ বাড়ছে।’
ঈদে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট তালিকা দেওয়া আছে। আমাদের জানামতে ঈদের সময় তারা ভাড়াটা ঠিক নেয়। অন্য সময় কম নেয়। সে কারণে মনে হয় ভাড়াটা মনে হয় বেশি হয়ে গেল, বিষয়টা সঠিক না।’
সভায় নৌ সচিব মোস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।