ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বরগুনায় দু’দিনের জন্য সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বরগুনা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ছগির হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে অবৈধ যানবাহন শ্যালো ইঞ্জিনচালিত থ্রি হুইলার ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম ও চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্র-শনিবার (৪-৫ নভেম্বর) বরগুনায় দু’দিনের জন্য সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার-অটোরিকশার দৌরাত্মের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেমন হয়, তেমনই পরিবহন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। তাই অবৈধ গাড়ির দৌড়াত্ম ঠেকাতে আমাদের এই ধর্মঘট কর্মসূচি।
ছগির মিয়া আরও বলেন, ধর্মঘট কর্মসূচির পরও যদি প্রশাসন অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধ না করা হয় তাহলে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, নেতাকর্মীরা যাতে বরিশালে সমাবেশে যেতে না পারেন, এ কারণেই সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করছে। কোন কৌশলই সফল হবে না। বরিশালের জনসমাবেশও জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাবিবুর রহমান বলেন, জেলা আইন-শৃঙ্খলার মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের জন্য। তবে এত বড় মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও অটোরিকশা বন্ধ করতে যে পরিমাণ পুলিশ ফোর্স দরকার, সে পরিমাণ পুলিশ সদস্য জেলা পুলিশের কাছে নেই। তাই বন্ধ করা যাচ্ছে না।
তবে বরগুনা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুস সালাম বলেন, সড়কে অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নেবেন বরগুনা ডিসি হাবিবুর রহমান। ডিসি সাহেব যদি অবৈধ ওইসব যান চলাচল বন্ধের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, তখন পুলিশ ফোর্স চাইলে আমি তা সাধ্যমতো দেওয়ার চেষ্টা করবো।