ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও ভাড়া আদায়ের দায়ে বাংলাবাজার ঘাটে দুটি লঞ্চকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এমভি সাগর ও এমএল দিপু-১ লঞ্চদুটির মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম রাকিবুল হাসান।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষজন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। এই সুযোগে লঞ্চ চালকরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল।
এমন খবরের ভিত্তিতে শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাবাজার ঘাটে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুটি লঞ্চকে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন তিনি। এ সময় পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এম রাকিবুল হাসান বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রী সেবা নিশ্চিতে ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে দুটি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়েছে। তাই জরিমানা করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ঘাট পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে আসা দুটি লঞ্চকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ রয়েছে। যাত্রী চাপ সামাল দিতে বাংলাবাজার ঘাট থেকে আমরা খালি লঞ্চ শিমুলিয়া ঘাটে পাঠাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী বহন নিষেধ থাকলেও তা কেউ শুনছে না। ভাড়াও বেশি নিচ্ছে। স্পিডবোট ভাড়া ১৫০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা নিচ্ছে। আর লঞ্চেও ৪৫ টাকার জায়গায় ৬০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। ঈদের সময় যাত্রীরা জিম্মি হয়ে বাড়তি ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন।