রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে স্বাভাবিক রয়েছে লঞ্চ চলাচল।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে দেশের অভ্যন্তরীণ অন্যান্য নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও এ রুটে এখনওলঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
একই সঙ্গে স্পিডবোটও চলছে। তবে ঘাট থেকে দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীরা থ্রি-হুইলারে করে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানিয়েছে, তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে এ পর্যন্ত নৌরুটে লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রয়েছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি লঞ্চ মালিক সমিতি থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ফলে স্বাভাবিক আছে লঞ্চ চলাচল। যাত্রীদের ভাড়াও আগের মতো রয়েছে।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্র জানিয়েছে, তেলের দাম বাড়ায় নৌরুটে চলাচলরত লঞ্চে যাত্রীদের ভাড়ার তুলনায় জ্বালানি খরচ বেড়ে গেছে। ফলে লঞ্চ মালিকদের বেশ সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় কোনো কোনো ট্রিপে শুধুমাত্র খরচ উঠে আসছে। তবে রোববার (৭ অক্টোবর) এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। যেহেতু বৈঠকের বিষয়টি আগে জানানো হয়েছে, তাই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়নি। বৈঠকে পজিটিভ কিছু হলে নৌ চলাচল স্বাভাবিকই থাকবে।
লঞ্চ মালিকেরা জানান, তেলের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে, তাতে ভাড়া না বাড়ালে লোকসান গুণতে হবে। লোকসান দিয়ে কেউ লঞ্চ চালাতে চাইবে না। তবে সমিতির সিদ্ধান্ত মতেই লঞ্চ চলাচল করবে।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বলেন, যেহেতু রোববার বিকেলে একটা মিটিং রয়েছে আমাদের, তাই মিটিং শেষে বিকেলে সিদ্ধান্ত জানানো যাবে। এ কারণে আমরা আগে থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করিনি। আমাদের রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, এখানে কোনো ধর্মঘট নেই। লঞ্চ চলাচল এখনো স্বাভাবিক আছে। পাশাপাশি স্পিডবোটও চলছে।