ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর দিন থেকে বান্দরবানে পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ির ভাড়া ৩০০ থেকে এক হাজার টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।
তবে ভাড়া বৃদ্ধির কোন মূল্য তালিকা টাঙানো হয়নি।
ঝিপ-মাইক্রোবাস কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গাড়ি ভাড়া বেড়েছে স্বাভাবিক ভাবে। দূরত্ব অনুযায়ী বর্ধিত ভাড়ার কিছুটা ব্যবধান রয়েছে। নীলগিরি ও রুমাবাজার রুটে ভাড়া ৫০০ টাকা বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা, বগালেক রুটে এক হাজার টাকা বেড়ে হয়েছে আট হাজার ৫০০ টাকা, থানচি রুটে ১ হাজার টাকা বেড়ে হয়েছে ৭৫০০ টাকা, রোয়াংছড়ির কচ্ছপতলি ও দেবতাকুম রুটে ৫০০ টাকা বেড়ে হয়েছে চার হাজার ৫০০ টাকা, নীলাচল, মেঘলা, স্বর্ণমন্দির, শৈলপ্রপাত রুটে ৩০০ টাকা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা।
ঢাকা থেকে বান্দরবান ভ্রমণে আসা সুকুমার জানান, পরিবার নিয়ে বান্দরবান বেড়াতে আসেন তিনি এবং তাদের সঙ্গে যোগ দেন রংপুর মেডিকেল কলেজের আরও চার শিক্ষার্থী। সাত দিন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বান্দরবান আসেন তারা। তবে দ্রব্যমূল্য ও তেলের দাম বাড়াতে খরচও বেড়ে গেছে। আগে বগালেক যেতে যেখানে গাড়ি ভাড়া খরচ হতো সাত হাজার ৫০০ টাকা এখন খরচ হচ্ছে আট হাজার ৫০০ টাকা। তাই সাত দিনের ভ্রমণ চার দিনে শেষ করে ফিরে যাওয়া চিন্তা করছেন তারা।
বান্দরবান ঝিপ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. নাছিরুল আলম বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় যাতায়াত খরচও বেড়েছে। পর্যটকদের জন্য বিশেষ বিবেচনা করে জ্বালানি তেলের দাম যতটুকু বেড়েছে শুধুমাত্র ওইটুকু নেওয়া হচ্ছে। সমতা রাখতে ক্ষেত্র বিশেষে খরচের চেয়েও কম নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি মোবিল ও গাড়ির অন্য যন্ত্রাংশের দামও বেড়েছে। মালিকের লাভ কম হলেও যাতে পর্যটকদের যাতায়াত ভাড়া বোঝা মনে না হয় এ জন্য ভাড়া কম বাড়ানো হয়েছে।’
বান্দরবান ঝিপ-মাইক্রোবাস চালক সমিতির প্রচার সম্পাদক জাহিদ বলেন, ‘একদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে অন্যদিকে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও ঊর্ধ্বগতি। কিন্তু মালিক পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- তেলের দাম যতটুকু বেড়েছে শুধুমাত্র সেটুকু নিতে। এতে প্রায় সাড়ে তিন শতকের বেশি পরিবহন শ্রমিকের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’