ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহতের ঘটনায় গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে আসামি করে মামলা করেছে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)।
শনিবার (৩০ জুলাই) ভোরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে মীরসরাই রেলক্রসিং এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর পৌনে ২টার দিকে আরঅ্যান্ডজে প্রাইভেট কেয়ার কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকরা মীরসরাইয়ে খৈয়াছড়া পানির ঝরনা দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে দুপুরে খৈয়াছড়া রেল স্টেশনের কাছে লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় মাইক্রোবাসটির সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেন মহানগর প্রভাতীর ধাক্কা লাগে।
ট্রেনটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় মাইক্রোবাসটিকে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় যানটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছয়জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠান।
এ দিকে এ দুর্ঘটনার পরপরই বিভাগীয় পার্সোনেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আনছার আলীকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের মধ্যে চারজন আরঅ্যান্ডজে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক এবং ৬ জন শিক্ষার্থী। একজন মাইক্রোবাসের চালক।
নিহতরা হলেন- উপজেলার আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজি মো. ইউসুফের ছেলে মাইক্রোচালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬), চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭), একই ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে শিক্ষক জিয়াউল হক সজীব (২২), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে শিক্ষক ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী (২২), ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খানের বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯), পারভেজের ছেলে সাগর (১৭) ও একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিসাম (১৬), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭)।