ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রাজধানীতে স্বপ্নের মেট্রোরেলের আরও একটি স্টেশন আজ বুধবার (১ মার্চ) চালু হলো। ধারাবাহিক উদ্বোধনের দিক থেকে পঞ্চম স্টেশন হিসেবে আজ চালু হলো সবচেয়ে ব্যস্ততম মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনটি। এর মধ্য দিয়ে মেট্রোরেলের পাঁচটি স্টেশনের যাত্রা শুরু হলো।
এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। প্রথম দিনই চালু হয় উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন দুটি। উদ্বোধনের দিন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
এরপর একে একে আরও দুটি স্টেশন চালু হয়। এর মধ্যে গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চালু হয় উত্তরা সেন্টার স্টেশন। এবার পঞ্চম স্টেশন হিসেবে চালু হলো মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন।
উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথে মোট ৯টি স্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি চালু হওয়ায় এখন বাকি আছে চারটি। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা এ চার স্টেশনের মধ্যে রয়েছে উত্তরা দক্ষিণ, মিরপুর-১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়া মেট্রোরেল প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে চলাচল করছিল। পরে এ শিডিউল ৩০ মিনিট পেছানো হয়। নতুন শিডিউল অনুযায়ী গত ২৫ জানুয়ারি থেকে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল।
তবে যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহের সুবিধার্থে সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেলের গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সবশেষ যাত্রীরা দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেলের চালু হওয়া স্টেশনগুলো থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি চারটি স্টেশনও চালু করা হবে। এর মাধ্যমে দিয়াবাড়ী-আগারগাঁও অংশের ৯টি স্টেশনই সচল হবে।
তিনি জানান, মিরপুর-১০ স্টেশনটি অত্যন্ত জনবহুল এলাকায়। ফলে যাত্রীদের বাড়তি চাপের বিষয়টি মাথায় রেখেই পরিকল্পনা অনুযায়ী জনবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩ আগস্ট মেট্রোরেল প্রকল্পের পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের সামনের সড়কে এর উদ্বোধন করা হয়।
এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার (২১,২৬ কিলোমিটার)। এর মোট ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণ থেকে ব্যয় হচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।