ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: মেট্রোরেলের উদ্বোধনের আর মাত্র ছয়দিন বাকি। প্রথমদিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলে যাতায়াতের পর সড়কপথে গন্তব্যে যেতে যাত্রীদের জন্য ৫০টি দ্বিতল বাস থাকবে। উদ্বোধনের দিন থেকে চলাচল করবে এসব বাস। যাত্রীরা ভাড়া দিয়ে বাসে করে গন্তব্যে যেতে পারবেন।
বিআরটিসি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দিয়াবাড়ি থেকে হাউজ বিল্ডিং এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল রুটে পরীক্ষামূলক ১৫টি বাস চলেছে। মেট্রোরেল স্টেশনে নেমে যাত্রীরা যাতে পরিবহন সমস্যায় না পড়েন এ জন্য বাসের ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহনের জন্য আপাতত দুটি রুটে বাস পরিচালনা করা হবে। এটা হলো- দিয়াবাড়ি থেকে হাউজ বিল্ডিং এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর বিআরটিসির এসব বাস চলবে।
তিনি বলেন, চাহিদার আলোকে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রাথমিকভাবে ৫০ বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেট্রোরেল স্টেশনে নেমে যাত্রীদের যাতে পরিবহন সমস্যা না হয় এজন্য বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। আগারগাঁও এবং উত্তরার দিয়াবাড়ি-এই দুই স্টেশনে থাকবে বাসগুলো। যাত্রীরা ভাড়া দিয়ে বাসে করে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারবেন।
বিআরটিসির সূত্র জানায়, আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেল স্টেশনে নামার পর যাত্রীদের সেখান থেকে ফার্মগেট, শাহবাগ ও পল্টন হয়ে মতিঝিল পৌঁছে দেবে কয়েকটি বাস। অন্যদিকে দিয়াবাড়ি স্টেশনে থাকবে আরও কয়েকটি বাস। এসব বাস উত্তরার বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রীদের মেট্রোর স্টেশনে নিয়ে আসবে।
এজন্য গত ১৭ নভেম্বর মেট্রোরেলের নির্মাণ কোম্পানি ডিএমটিসিএলের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ।
ডিএমটিসিএলের সূত্র জানায়, মেট্রোরেলের যাত্রীদের সেবা দিতে সম্প্রতি ডিএমটিসিএল ও বিআরটিসির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। সে চুক্তির আওতায় আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ হয়ে মতিঝিল এবং কমলাপুর পর্যন্ত বাস চলবে। প্রথম ধাপে ৫০টি বাস চলাচল করবে। এই বাসগুলো আগারগাঁও স্টেশনের যাত্রী পরিবহন করবে। নির্দিষ্ট সময় পর পর আসবে বাস। ফলে মেট্রো থেকে নেমে যাত্রীদের বাসের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না।
২৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম দিকে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। এই পথের দূরত্ব ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।