ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গত ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পরে থেকে এ পর্যন্ত মেট্রোরেলে ৭ লাখ ৯০ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন। আয় হয়েছে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
এমআরটি পাস বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার ৯১০টি। বর্তমানে মেট্রোরেলের আয় দিয়ে ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এসব তথ্য জানান।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও মোট ১২ কিলোমিটার অংশে মোট ৯টি স্টেশন রয়েছে। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে পাঁচটি স্টেশন যাত্রী চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে। ১৫ মার্চ চালু হচ্ছে মিরপুর ১১ ও কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন।
ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে।
২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তখন সর্বমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ও সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।